গাজীপুরজেলা পুলিশ

কাপাসিয়ায় ইফতার বিক্রিতে পুলিশের বাধা, লাঠিপেটা-ভাংচুর: ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কাপাসিয়ার রায়েদ বাজারে খাবার হোটেলে ইফতার বিক্রির সময় পুলিশি বাধা এবং ইফতার সামগ্রী ফেলে দিয়ে লাঠিপেটা করে হোটেলের কয়েকটি গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সিংহশ্রী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেকান্দার আলীর বিরুদ্ধে।

পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইফতারের আগ মূহুর্তে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী, বাজারের ব্যবসায়ী নেতা, ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হোটেল মালিক আকতার হোসেন জানান, সিংহশ্রী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেকান্দার আলী ইফতার বিক্রির সময় বাধা দেয়। দোকান খোলা রাখায় এএসআই হোটেলে থাকা ইফতারের খাবার সামগ্রী ফেলে দেন এবং লাঠিপেটা করে তিনি হোটেলের কয়েকটি গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। তার লাঠির আঘাতে দোকান মালিক আকতার হোসেন, ক্রেতা নূরুল হক, আফাজ উদ্দিন ও মোবারক হোসেন আহত হয়। তারা স্থানীয় ফার্মেসী থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনার সময় বাজারে উপস্থিত লোকজন হোটেলের সামনে জড়ো হয়ে ঘটনার নিন্দা ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ধিক্কার জানান। এক পর্যায়ে বাজারে উপস্থিত লোকজন এএসআই সেকান্দার আলী ও তার সাথে থাকা হাবিলদার কায়েসকে ধাওয়া করেন। পরে সিংহশ্রী পুলিশ ক্যাম্প থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাজারে এসে পাল্টা ধাওয়া করে।

অপর দিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আরো জানান, গত ৩০ এপ্রিল ওই এএসআই সেকান্দর আলী পাশের বাগেরহাট এলাকার সুলতান উদ্দিনের আখের মিলে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় আখ জাল দেয়ার চুলা ভেঙ্গে ফেলে। ওই সময় বাধা দিতে গেলে দারোগার লাঠির আঘাতে মোজাম্মেল ও মানিক নামে দু’জন আহত হয়। তারা এখনো স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেকান্দার আলী জানান, লকডাউনে দোকানপাট খোলা রাখার বিষয়ে বাজারে প্রবেশ করলে হোটেলের লোকজনের দৌড়াদৌড়িতে ইফতারের খাবার ও দোকানের গ্লাস পড়ে যায়। তিনি কোনো কিছু ফেলেননি। খাবার ফেলে দেয়ায় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সন্দেহ করে ধাওয়া করলে একজন এএসআই ও দু’জন কনস্টেবল আহত হন। তাদেরকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এএসআই’র লাঠির আঘাতে একটি গ্লাস ভেঙ্গেছে। কিন্তু দোকানে কোনো হামলা ঘটনা ঘটেনি।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button