গাজীপুর

কালীগঞ্জে তালিকাভুক্ত হাট-বাজারের মধ্যে ইজারা নেই ১৫টির, তালিকায় নেই চুপাইর হাট!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জ পৌরসভা এবং সাত ইউনিয়নে সরকারি তালিকাভুক্ত হাট-বাজার রয়েছে মোট ৩২টি। এর মধ্যে ইজারা নেই ১৫টির। এছাড়াও আলোচিত চুপাইর হাটের নামই নেই তালিকায়।

তালিকাভুক্ত হাট-বাজারের মধ্যে ইজারা রয়েছে ১১টির। পৌরসভার তত্ত্বাবধানে রয়েছে একটি বাজার এবং একটি হাট। এছাড়াও রাজউক অধিগ্রহণ করেছে একটি বাজার ও একটি বাজারের নির্ধারিত স্থানে ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন রয়েছে একটি বাজার এবং মসজিদ কমিটির তত্বাবধানে পরিচালনা করা হয় একটি হাট। 

ইজারা দেওয়া ১১টি হাট-বাজার থেকে ১৪২৮ বঙ্গাব্দ সালে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬’শ টাকা।

সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের গাজীপুর জেলার উপপরিচালক (উপসচিব) কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত হাট-বাজার সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি তালিকাভুক্ত না হলেও জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইরে অবৈধভাবে প্রতি বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পশুর হাট বসে। প্রতি হাটে আনুমানিক প্রায় ২-৩ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদার অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নেয় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় অসাধু কয়েকজন কথিত নেতা।

হাট-বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলায় তালিকাভুক্ত ৩২টি হাট-বাজারের মধ্যে কালীগঞ্জ পৌরসভায় রয়েছে একটি বাজার ও একটি হাট। এছাড়া বাহাদুরসাদী ইউনিয়নে রয়েছে তিনটি বাজার, জামালপুরে রয়েছে তিনটি বাজার ও একটি হাট, মোক্তারপুরে রয়েছে সাতটি হাট, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে রয়েছে চারটি বাজার, তুমুলিয়ায় একটি বাজার, নাগরীতে তিনটি বাজার এবং একটি হাট, বক্তারপুরে তিনটি হাট এবং চারটি বাজার রয়েছে।

পৌরসভা
কালীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পৌরসভার বাজার ইজারা দেয়া হয়েছে এবং রায়ের হাটের ইজারা নেই।

বাহাদুরসাদী

বাশাইর বাজার ইজারা দেয়া হয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার টাকায়, ঈশ্বরপুর এবং ধোলাসাধু খাঁ বাজারের ইজারা নেই। এর মধ্যে ঈশ্বরপুরে বাজার বসে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

জামালপুর
দোলানা বাজারের ইজারা মূল্য ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং জামালপুর বাজারের ইজারা মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়াও তেরমুখ বাজার ও নারগানা হাটে বাজার বসে না বিধায় ইজারা নেই মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

মোক্তারপুর

বড়গাঁও বাজারের ইজারা মূল্য ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, সাওরাইদ বাজারের ইজারা মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, রাথুরা বাজারের ইজারা মূল্য ৩০ হাজার টাকা এবং মৈশার বাজারের ইজারা মূল্য ২৬’শ টাকা।

এছাড়াও নোয়াপাড়া, সাবানতলী এবং নাসির মার্কেটে বাজার বসে না বিধায় ইজারা নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাঙ্গালিয়া

আওড়াখালী বাজারের ইজারা মূল্য ২০ হাজার ৫’শ টাকা এবং জাঙ্গালিয়া বাজারের ইজারা মূল্য ১০ হাজার টাকা।

এছাড়াও নরুন নামা বাজার এবং নরুন বাজারের ইজারা নেই।

তুমুলিয়া
সোম বাজারের জন্য নির্ধারিত স্থানে তুমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।

নাগরী
নাগরী বাজারের ইজারা মূল্য ৪ লাখ টাকা এবং উলুখোলা বাজারের ইজারা মূল্য ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫’শ টাকা।

এছাড়া গলান হাটের ইজারা নেই এবং বড়কাউ বাজারের জন্য নির্ধারিত স্থান রাজউক অধিগ্রহণ করেছে।

বক্তারপুর

ব্রাহ্মণগাঁও, সাধুর হাট, ভাটিরা বাজার, বাবু বাজার এবং ব্রাহ্মণগাঁও মোটের হাটে বাজার বসে না বিধায় ইজারা নেই।

এছাড়াও নয়াবাজার হাট মসজিদ কমিটির তত্বাবধানে পরিচালনা করা হয় এবং ফুলদী বাজার ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকায় ইজারা নেই।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button