গাজীপুর

কালীগঞ্জে ‘সরকারি জমি বন্ধক’ রেখে ৬৭ লাখ টাকা ঋণ, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যাংক!

বিশেষ প্রতিনিধি : কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়নের পাড়ারটেক মৌজার তিনটি দাগে (দাগ নং এসএ ১০৮,১০৯, ১১০ এবং আরএস ২০৯, ২২০, ২২১) মোট জমির পরিমাণ ১ একর ৫৯ শতাংশ। এর মধ্যে অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তির গেজেট অনুযায়ী ‘ক’ তফসিলভুক্ত জমি রয়েছে ৫৪ শতাংশ। আর এ জমিও ঋণের জামানত হিসেবে নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। একই মৌজায় আরও ৩৭.৫ শতাংশ এবং এর বাইরে বান্দাখোলা মৌজায় আরও ৪৫ শতাংশ জমিসহ মোট ১ একর ৩৬.৬ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে ‘মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি।

এরপর ঋণের অর্থ পরিশোধ না করেই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জুফিকার হাসান (সারোয়ার)।

পরবর্তীতে ঋণের অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসকল তথ্য গোপন করেই ‘অর্থঋণ’ আদালতে মামলা করলে আদালত বন্ধকী সম্পত্তি ব্যাংকের অনুকূলে ন্যস্ত করেন।

এরপর নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তিসহ প্রকল্পের গোটা সম্পত্তিই বিক্রির চেষ্টা করছে অগ্রণী ব্যাংক।

একে গুরুতর অনিয়ম হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তি কোনো জামানত হিসেবে নেয়ার সুযোগ নেই। যদিও ব্যাংকের দাবি, নিজস্ব আইনজীবী ও ভূমি অফিস থেকে যাচাই করে পরে রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়।

”আর আইন অনুযায়ী ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১’ এর ৮ ধারায় প্রত্যর্পণযোগ্য সম্পত্তির হস্তান্তর নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই আইনের অধীন অবমুক্তি বা প্রত্যর্পণ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে কোন ব্যক্তি প্রত্যর্পণযোগ্য সম্পত্তি বিক্রয়, দান বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করিতে বা বন্ধক রাখিতে পারিবে না এবং উক্তরূপ বিক্রয়, দান, অন্যবিধ হস্তান্তর বা বন্ধক বাতিল ও ফলবিহীন হইবে”।

অপরদিকে, ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তি প্রথমে দখল করে তা জামানত হিসেবে বন্ধক রেখে ঋণের টাকায় সরকারি সম্পত্তিতে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণের পরও এই বিষয়ে জানা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।

প্রবেশদ্বারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দেয়া বিজ্ঞপ্তি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়নের মানিকপুর থেকে সাধুর বাজার হয়ে পাড়ারটেক এলাকায় সড়কের উত্তর পাশে ‘ক’ তফসিলভূক্ত (ভিপি) অর্পিত সম্পত্তি দখল করে তিন দিকে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা জমিতে প্রায় ২০০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফিট প্রস্থ গ্রেড বীমের উপর পিলার করে উপরে স্টিলের এঙ্গেল দিয়ে ৭ টি সেট (স্ট্রাকচার) নির্মাণ করা হয়েছে। যা বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর প্রবেশদ্বারে লেখা রয়েছে, বিজ্ঞপ্তি ‘প্রকল্পটি মাননীয় জজ অর্থঋণ আদালত-১ ঢাকা কর্তৃক ২৩ জুন ২০০৮ সালের আদেশের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের আমিনকোর্ট কর্পোরেট শাখার অনুকূলে ন্যস্ত করা হয়েছে’।

বন্ধকি দলিল সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে ১ একর ৩৬.৬ শতাংশ সম্পত্তি জামানত রেখে ‘মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্মকে’ ঋণটি দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের আমিন কোর্ট কর্পোরেট শাখা। ঋণ নেয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বন্ধকি দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ব্যাংকের কাছে জামানতের জন্য সম্পত্তির দলিলপত্র জমা দেওয়া হয়। বন্ধকি দলিলের ১০ পৃষ্ঠার আইনানুগ নথি অনুযায়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার দুইটি মৌজার ভূমি জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পাড়ারটেক মৌজায় জমির পরিমাণ ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ ও বান্দাখোলা মৌজার ৪৫ শতাংশ জমি জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২ মে বন্ধকি দলিলটি সম্পাদন করা হয় কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে।

পাড়ারটক মৌজায় বন্ধকি জমির নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ মৌজার এসএ ১১০ এবং আরএস ২০৯ নং দাগে মোট ৭৫ শতাংশ জমি রয়েছে এর মধ্যে ২৬ শতাংশ জমি ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তি। এ ভূমিও জামানত হিসেবে নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। এছাড়াও এসএ ১০৮ ও ১০৯ এবং আরএস ২২০ ও ২২১ দাগে ২১ ও ৫৮ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৭ ও ২১ শতাংশ জমি গেজেট অনুযায়ী ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ থাকলেও ‘মেসাস হ্যাভেন মাল্টি ফার্ম’ অগ্রণী ব্যাংকের কাছে তা বন্ধক রেখেছে। আরএস খতিয়ান অনুযায়ী এসব জমি সরকারের ডেপুটি কাস্টডিয়ানের নামে নিবন্ধিত। তবু এসব জমিও জামানত হিসেবে নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।

দুই মৌজার মধ্যে শুধু পাড়ারটক মৌজার নথি পর্যালোচনা করেই ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তির প্রায় পৌণে ২ বিঘা ভূমি বন্ধক রাখার হিসাব পাওয়া গেছে। বন্ধক রাখা বাকী ভূমির মধ্যেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি সরকারের ডেপুটি কাস্টডিয়ানের নামে নিবন্ধিত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

বিষয়টি স্বীকারও করেছে ‘মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্ম’ কর্তৃপক্ষও। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী পলাতক জুফিকার হাসানের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমিগুলো আমরা ক্রয় করা। এছাড়াও ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেন নি তিনি।

‘মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্ম’র স্বত্বাধিকারী জুফিকার হাসান (সারোয়ার) কালীগঞ্জ উপজেলার চুয়ারিখোলা গ্রামের হারুন-অর-রশিদের ছেলে।

নির্মিত স্ট্রাকচার পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জুফিকার হাসান বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এছাড়াও ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তিসহ প্রকল্পের পুরো সম্পত্তিই বিক্রির জন্য স্থানীয় কয়েকজন দালালের মাধ্যমে চেষ্টা করছে অগ্রণী ব্যাংক ও পলাতক জুফিকার হাসান। মাঝেমধ্যেই এই জমি দেখতে বিভিন্ন লোকজন নিয়ে আসেন ওই দালাল চক্র।

অভিযোগ আছে, ”প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ব্যাংক ও রেজিস্ট্রি অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে এ প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। নিয়ম লঙ্ঘন করে মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্মকে’ বিপুল অংকের এ ঋণ দেয়া হলেও অখ্যাত প্রতিষ্ঠানটির কোনো অফিস খুঁজে পাওয়া যায়নি”।

বন্ধকি দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ”মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফর্ম এর স্বত্বাধিকারী জুলফিকার হাসান তার বর্তমান ঠিকানা হিসেবে দেখিয়েছেন উত্তরা ৩ নং সেক্টরের ১০ নাম্বার রোডের ২৩ নাম্বার বাড়ি। আর প্রকল্প দেখিয়েছেন পাড়ারটেক মৌজার যে ভূমি জামানত হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক দিয়েছেন সেই স্থানকে। এছাড়াও সহায়ক জামানত হিসেবে বান্দাখোলা মৌজার জমি বন্ধক রেখেছেন”।

ঋণের আবেদনে পোলট্রি (লেয়ার মুরগী পালন) শিল্প প্রকল্প স্থাপনের জন্য ব্যাংক মধ্য মেয়াদী মূলধন ঋণ ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বল্প মেয়াদী চলতি ঋণ ১১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ হিসাবে মঞ্জুর করেন।

”বন্ধকি দলিলে বান্দাখোলা মৌজার জমির খতিয়ান, দাগ, নামজারি নাম্বার এবং কোন দাগে কি পরিমাণ জমি বন্ধক রেখেছে তা উল্লেখ করলেও পাড়ারটেক মৌজার জমির খতিয়ান ও দাগ ব্যতিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই”।

ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২ মে বন্ধকি দলিলটি সম্পাদন করার দুই বছর পর ‘মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্ম’ এর কাছে সুদসহ ঋণের ৮৯ লাখ ১০ হাজার ৩১ টাকা পাওনা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে ঋণের ওই অর্থ আদায়ের দাবিতে অর্থঋণ আদালতে ‘২০০৩ সালের অর্থঋণ আদালত আইন, (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর ৫ ধারায় ‘মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্ম’র বিরুদ্ধে অর্থঋণ মামলা করেন। এরপর ২০০৮ সালের ২৩ জুন বন্ধকী সম্পত্তি ব্যাংকের অনুকূলে ন্যস্ত করে আদেশ প্রদান করেন আদালত।

জানা যায়, ‘মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্ম’র বন্ধক রাখা জমির মূল্যও ধরা হয়েছে অস্বাভাবিক বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ব্যাংকটির কাছে জমানত হিসেবে দেয়া কালীগঞ্জ উপজেলার পাড়ারটেক মৌজার প্রতি শতক জমির সরকারি মূল্য নির্ধারিত ছিল সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা। সে হিসাবে এ মৌজার ৯১.৫০ শতক জমির সর্বোচ্চ মূল্য ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। একই উপজেলার বান্দাখোলা মৌজার প্রতি শতক জমির দাম সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা হিসাবে ৪৫ শতক জমির মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসাবে অগ্রণী ব্যাংকে বন্ধক রাখা দুই মৌজার ১ একর ৩৬.৬ শতক জমির সর্বোচ্চ মূল্য ২৭ লাখ ২২ হাজার টাকা। অর্থাৎ সরকারি মূল্যের ভিত্তিতে ব্যাংকটির কাছে জামানত দেয়া সব সম্পত্তির মূল্য ৩০ লাখ টাকার বেশি হবে না। যদিও এ জমির বিপরীতে ব্যাংকটি গ্রাহককে দিয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ কোটি টাকা।

গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য আইনজীবী সারোয়ার হোসেন বলেন, ”অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১’ এর ৮ ধারায় প্রত্যর্পণযোগ্য সম্পত্তির হস্তান্তর নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই আইনের অধীন অবমুক্তি বা প্রত্যর্পণ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে কোন ব্যক্তি প্রত্যর্পণযোগ্য সম্পত্তি বিক্রয়, দান বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করিতে বা বন্ধক রাখিতে পারিবে না এবং উক্তরূপ বিক্রয়, দান, অন্যবিধ হস্তান্তর বা বন্ধক বাতিল ও ফলবিহীন হইবে”।

তিনি আরো বলেন, ”যেকোনো ঋণের জামানতের সম্পদ বিষয়ে ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবীদের মতামত নেয়া হয়। জামানতের সম্পত্তিতে কোনো সমস্যা থাকলে সেটি আইনজীবীরা চিহ্নিত করে নিজেদের মতামত দেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় ভূমি অফিসের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। একটি ঋণ প্রস্তাব গ্রহণ থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত ব্যাংকের একাধিক পক্ষ সম্পৃক্ত থাকে। ‘ক’ তফসিলভূক্ত (ভিপি) অর্পিত সম্পত্তি কোন অবস্থাতেই জামানত হিসেবে বন্ধক দেয়ার সুযোগ নেই। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে তাহলে এ জালিয়াতে দাতা ও গৃহীতা উভয়েই জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে”।

কালীগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার আবু তালেব বলেন, ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তি কোন অবস্থাতেই জামানত হিসেবে বন্ধক দেয়ার সুযোগ নেই। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে তাহলে তা জালিয়াতির মাধ্যমে দাতা ও গৃহীতা উভয়েই জেনে বুঝে প্রতারণার উদ্দেশ্যে দলিলটি সম্পাদন করিয়েছেন। আমরা সরল বিশ্বাসে জমির সকল নথিপত্র যাচাইপূর্বক দলিল সম্পাদন করে থাকি।

কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অর্পিত সম্পত্তির গেজেট অনুযায়ী পাড়ারটেক মৌজার আরএস ২০৯, ২২০ ও ২২১ এই তিন দাগে ‘ক’ তফসিলভুক্ত ৫৪ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। তবে অর্পিত সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও ঋণের জামানত হিসেবে বন্ধক দেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ওই জমিতে অবৈধ স্থাপনা থাকলে তা উচ্ছেদ করা হবে’।

কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা আক্তার বলেন, অর্পিত সম্পত্তি দখল করে কেউ যদি কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করে থাকে তাহলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ওই জমিতে সরকারি দখল নিশ্চিত করা হবে।

অগ্রণী ব্যাংকের আমিনকোর্ট কর্পোরেট শাখার মহাব্যবস্থাপক জহর লাল রায় বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এই শাখায় যোগাদান করেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (নিরীক্ষা) এনামুল মাওলা বলেন, ‘নিজস্ব আইনজীবী ও ভূমি অফিস থেকে নথি যাচাই করে রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। মেসার্স হ্যাভেন মাল্টি ফার্মের কোন ঘটনা জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

 

আরো জানতে…

রাজ হাউজিং এর জালিয়াতি: নদী কবরস্থানের ভূমি বন্ধক রেখে ২৫০ কোটি টাকা ঋণ

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button