অটিজম মোকাবেলায় বিশ্বে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : অটিজমকে একসময় দেশে পাপ বা অভিশাপ ভাবা হতো। বলা হতো, অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা। পরিবারের কাছেও তারা ছিল অবহেলিত।
অটিস্টিক শিশুদের সুষ্ঠু স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ছিল না যথাযথ পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা ও ব্যবস্থাপনা।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অটিজম মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ক্রীড়া পরিদফতরের উদ্যোগে অটিস্টিক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে রোববার প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দক্ষ-অভিজ্ঞ প্রশিক্ষিতদের তত্ত্বাবধান, বিশেষ শিক্ষা কর্মসূচির ব্যবস্থা, প্রত্যেক শিশুর বিশেষ চাহিদা পূরণ, বিকলাঙ্গ শিশুদের আর্থিকভাবে বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের অটিস্টিক শিশুদের উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ক্রীড়া পরিদফতরের উদ্যোগে অটিস্টিক ও বিশেষ শিশুদের জন্য নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অটিস্টিক শিশু ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে গৃহীত সরকারের নানা কার্যক্রম জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পেয়েছে স্বীকৃতি ও অর্জন করেছে প্রশংসা।
তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্র তখনই কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন প্রত্যেক নাগরিকের জন্য যথাযথ সুযোগ-সুবিধা বজায় থাকে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত।
উন্নয়নের এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দেশের সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আমাদের অটিজম শিশু ও প্রতিবন্ধীরা সঠিক পরিবেশে বেড়ে উঠছে। একসময় তারা দেশের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. জাফর উদ্দীন, সভাপতিত্ব করেন ক্রীড়া পরিদফতরের পরিচালক মোহা. মোমিনুর রহমান।