দেশের সব নদ-নদীর আইনগত অভিভাবক ‘নদী রক্ষা কমিশন’ হাইকোর্ট
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : তুরাগ নদীকে ব্যক্তি-আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মধ্যে এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদী একই মর্যাদা পাবে।
তুরাগ নদ রক্ষায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি সোমবার প্রকাশিত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রায়টি ২৮৩ পৃষ্ঠার। রায়টি লিখেছেন বিচারপতি আশরাফুল কামাল। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। রায়ে ১৭ দফা নির্দেশনা রয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, নদীর বাঁচা-মরার ওপর বাংলাদেশের অস্তিত্ব জড়িত। বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ, বাঁচবে প্রিয় বাংলাদেশ।
রায়ের নির্দেশনায় বলা হয়, নদী রক্ষা কমিশনকে তুরাগ নদসহ দেশের সব নদ-নদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের নিমিত্তে আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করা হলো। নদ-নদীসংশ্লিষ্ট সব সংস্থা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আজ থেকে বাংলাদেশের সব নদ-নদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক নৌচলাচলের উপযোগী করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, শ্রীবৃদ্ধিসহ যাবতীয় উন্নয়নে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বাধ্য থাকবে। নদ-নদীসংশ্লিষ্ট সব সংস্থা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নদী কমিশনকে সঠিক এবং যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা দিতে বাধ্য থাকবে। রায়ে বলা হয়, ‘আগাম প্রতিরোধের নীতি এবং দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের নীতি আমাদের দেশের আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, রায়ে আদালত ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূত্র: প্রথম আলো