‘উধাও’ সিফাতের ল্যাপটপ-হার্ডড্রাইভ
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনাকর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের তথ্যচিত্রের চিত্রগ্রাহক ও প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের ল্যাপটপ ও হার্ডড্রাইভ উধাও হয়ে গেছে। স্বজনদের ধারণা, আলামত নষ্ট করতেই এসব গায়েব করেছে পুলিশ।
৩১ জুলাই কক্সবাজার মেরিনড্রাইভের শামলাপুর চেকপোষ্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাত।
সিফাতের খালা জানান, ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত সিফাতের সঙ্গে পরিবার, এমনকি আইনজীবীর সাথেও দেখা করতে দেয়নি।
অ্যাডভোকেট নীলা বলেন, যেহেতু সিফাতের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই তারা চাচ্ছে কেউ কিছু না জানুক। কারণ সে ওখানে ছিল।
তবে, কারাগারের ফোন থেকে একবার খালা ও আর একবার খালুকে ফোন করেছিলো সিফাত। তাতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সিনহা রাশেদের ইউটিউব চ্যানেল JUST GO এর জন্য চিত্রধারণ করে যে হার্ডড্রাইভ ও ল্যাপটপে সংরক্ষণ করা হয়েছে তা লাপাত্তা হওয়ায়। খালুকে সিফাত জানায়, হার্ডড্রাইভটি ঘটনার সময় তার সাথেই ছিল আর ল্যাপটপটি ছিলো নীলিমা রিসোর্টে।
সিফাত জানিয়েছিলো, হোটেলে ল্যাপটপ, মানিব্যাগ, ক্যামেরা, হার্ডড্রাইভ ছিল।
সিনহা ও সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার এজাহারে ২১টি আলামত জব্দ করার কথা বলা হয়েছে। তাতে বিদেশি অস্ত্র থেকে শুরু করে ছুরি পর্যন্ত জব্দ করার কথা বলা হলেও নেই হার্ডড্রাইভের কথা। অন্যদিকে নীলিমা রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে মদ গাজা উদ্ধারের কথা বলা হলেও নেই ল্যাপটপের উল্লেখ।
এসবের হদিস জানতে পুলিশের পেছনে ঘুরে ঘুরে সিফাতের খালুর ধারণা হয়েছে, এ দুটো গুরুত্বপূর্ণ আলামত গায়েব করেছে খোদ পুলিশ।
সিফাতের খালু বলেন, মামলার জন্য পুলিশ এগুলো মিসিং করতে পারে। কারণ এটাই ওর প্রমাণ যে সে সেখানে কাজ করছিল।