খেলাধুলাজাতীয়

পূর্বাচলে নতুন করে ৩২ একর জমি চেয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : পূর্বাচলে অত্যাধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে যে ৩৭.৫০ একর জমি বরাদ্দ নিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তা চলে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাতে। দেশের সবচেয়ে ধনাঢ্য এ ক্রীড়া ফেডারেশনটি নিজেদের মতো করেই সেখানে তৈরি করবে ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

এ জমি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনেক রশি টানাটানি হলে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় বিসিবি। এক পর্যায়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিসিবিকে ১৭ একর জায়গা দিয়ে তারা বাকি ২০.৫০ একর জমিতে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিসিবি পুরো জায়গায়-ই নিয়ে নেয়। সেই জমি হারিয়েও দমে যায়নি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। পূর্বাচলে তারা ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্তে অটল। এ জন্য তারা নতুন করে পূর্বাচলে ৩২ একর জমি চেয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল রোববার বলেছেন, ‘পূর্বাচলে ৩২ একর জমি চেয়ে আমরা ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে।’

জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে সব ফেডারেশনের নির্দিষ্ট জায়গা নেই তাদের স্থায়ীভাবে খেলার ব্যবস্থা করার জন্যই পূর্বাচলে কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। রাজউকের কাছ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩৭.৫০ একর জমি ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে যাওয়ায় আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। ক্রিকেট বোর্ড সেখানে যে স্টেডিয়াম করবে তা ব্যবহার হবে তাদের মতো করে। অন্য খেলা বা সাধারণ মানুষতো কোনো সুযোগ পাবে না। যে কারণে আমরা আলাদা করে অত্যাধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। যেখানে বিভিন্ন খেলার সুযোগ-সুবিধা থাকবে।’

উদ্যোগটা প্রাথমিক। জায়গা বরাদ্দ পেলেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কীভাবে কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে তা চূড়ান্ত পরিকল্পনা করবে। তবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স, বাস্কেটবল, সাইক্লিং, টেনিসসহ গোটাবিশেক খেলার সুযোগ করে দিতে চান এ ক্রীড়া কমপ্লেক্সে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এ কমপ্লেক্স করতে পারি সেখানে ফুটবল, ক্রিকেটের মাঠ থাকবে। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, সুইমিংপুল, সাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা হোস্টেল, জিমনেসিয়ামসহ নানা সুযোগ-সুবিধা আমরা রাখব-এ কমপ্লেক্সে। এটা তৈরি হলে অনন্ত ২০ ফেডারেশন তাদের খেলাধুলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থায়ী জায়গা পাবে।’

‘বিসিবিতো নিজেদের মতো করেই আলাদা স্টেডিয়াম করছে পূর্বাচলে। নতুন ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ক্রিকেট মাঠ রাখা কি জরুরি? বিসিবি যে স্টেডিয়াম করবে সেখানে তো স্থানীয় মানুষরা উম্মুক্তভাবে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবে না। আমরা যেটা করব সেখানে স্থানীয় সাধারণ মানুষও খেলাধুলা করতে পারবে নির্ধারিত সিডিউল মেনে। আমাদের লক্ষ্য পূর্বাচলের মানুষ ফুটবল-ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলার সুযোগ পাক। খেলাধুলার একটা পরিবেশ আমরা তৈরি করতে চাই সেখানে। পূর্বাচল বিশাল এলাকা। সেখানকার মানুষের খেলাধুলার ব্যবস্থা তো থাকতে হবে তাই না?’ বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

জায়গা পাওয়া নিয়ে কতটা আশাবাদী আপনি? দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়েছে? জবাবে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘না। এখনও এ নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা কী কী করতে চাই এবং কী পরিমাণ জায়গা লাগবে তা জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আমরা প্রাথমিক ভাবে পরিকল্পনা করেছি সেখানে কী কী সুযোগ-সুবিধা রাখা যায়। জায়গা বরাদ্দ পেলে সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে।’

 

সূত্র: জাগোনিউজ

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button