কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হককে গণসংবর্ধনা
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদকে ভুষিত হওয়ায় ১৯ মার্চের মহানায়ক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হককে গণসংবর্ধনা দিয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগ।
শনিবার বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলার কালিয়াকৈর বাস টার্মিনাল চত্ত্বরে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য আমাকে “স্বাধীনতা পদকে” ভূষিত করা হয়েছে। এই সম্মাননা তখনই কাজে লাগবে, যখন সবাই মিলে কালিয়াকৈরকে সর্বশ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। এই সম্মাননা শুধু আমার নয়, এই সম্মাননা আমি কালিয়াকৈর ও গাজীপুরবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম।
মন্ত্রী বলেন, যে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নির্মমভাবে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের একটা অংশের বিচার হয়েছে। এবার কমিশন গঠন করে ১৫ আগষ্টের নির্মম হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়া ও খুনী মোস্তাকের কি ভুমিকা ছিল এবং বিদেশী চক্রান্তকারীদের কি ভুমিকা ছিলো- তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। দেশে আজ যতো উন্নয়ন হয়েছে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ আরো অনেক আগেই এই উন্নয়ন হয়ে যেতো।
তিনি আরো বলেন, ১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু হাত ধরেই আমি ছাত্রলীগে যোগদান করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু আদর স্নহ আজও ভুলতে পারিনি। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি লোভ-লালসা বাদ দিয়ে আজও বঙ্গবন্ধুর কর্মী হয়ে রয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে কখনো বিশ্বাস ঘাতকতা করিনি।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামছুল আলম প্রধান, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন প্রমূখ।