পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইএস-এর দায় স্বীকার!
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার পুলিশ বক্সের সামনে চালানো ককটেল হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী মুনাফাভিত্তিক মার্কিন ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’ এই তথ্য জানিয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে চালানো ওই হামলায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়িবহরে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাজুল ইসলাম এ সময় গাড়িতে থাকলেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি।
হামলার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ধারণা করছি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের পুলিশ বক্সকে টার্গেট করেই হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশই মূল টার্গেট বলে মনে হচ্ছে।
সাইট ইন্টেলিজেন্সে আরবি ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে আইএস জানায়, ‘১৪৪১ হিজরির ১ মুহাররম খিলাফতের এক সেনা দুই জন পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এতে তারা অনেক আহত হয়। আমরা আল্লাহর কাছে তাদের ধ্বংস প্রার্থনা করি।’
গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে একটি ট্রাফিক বক্সের পাশে হাতে তৈরি বোমা বা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য ও একজন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ঠিক ২৮ দিন পর গত ২৬ মে রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের পলওয়েল ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে রাখা পুলিশের বিশেষ শাখার একটি পিক-আপভ্যানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতেও ট্রাফিক পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তার, লাল মিয়া নামে একজন রিকশাচালক ও শাহনাজ শারমিন নামে এক পথচারী আহত হন। এছাড়া ২৩ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন ও খামাড়বাড়ি পুলিশ বক্সের কাছে ফেলে রাখা বোমা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনার পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
তবে পুলিশ কেন বার বার হামলার শিকার হচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজানের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে রুখে দিয়েছে, সে কারণেই পুলিশ টার্গেট হতে পারে।
এদিকে হামলায় আহত এএসআই শাহাবুদ্দিন (৩৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে কনস্টেবল আমিনুলের হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।