আলোচিত

রাজধানীতে অবৈধ বস্তি : অপরাধী তৈরির কারখানা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বস্তির জীবন এবং জীবিকা দুটোতেই যেন অনিশ্চয়তার দোলাচল। ভাসমান জীবনে খড়কুটো ধরে আঁকড়ে বেঁচে থাকার নিরন্তর চেষ্টা বস্তিবাসীর। এদের একটি বড় অংশ নদীভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব হারিয়েছেন।

বেঁচে থাকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকার বস্তিতে এসে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন হতভাগ্যরা। অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর আর গিঞ্জি বস্তিতে ঠাঁই হলেও অভাব ওদের পিছু ছাড়ে না।

জীবিকার তাগিদে বাস-ট্রাক, রিকশা ও বেবিট্যাক্সি চালানো, গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকের চাকরি, রাজমিস্ত্রি, গৃহকর্মী, ছোট মুদি দোকানসহ নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশা বেছে নেন তারা।

এসব কাজ করে যে সামান্য আয় হয় তার সিংহভাগ চলে যায় তথাকথিত বস্তির মালিক ও সেখানে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের পকেটে।

ঘরভাড়াসহ বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের অবৈধ বিলের নামে একেকটি বস্তি থেকে মাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা।

শুধু তাই নয়, বস্তির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মধ্যে ঘটে খুনোখুনির ঘটনাও। কিন্তু তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার যেন কেউ নেই।

নির্বিকার প্রশাসনসংশ্লিষ্টরা। কারণ তথাকথিত বস্তির মালিক ও সিন্ডিকেটের ওপর রয়েছে রাজনৈতিক নেতাসহ সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আশীর্বাদ।

রাজধানীর কড়াইল, মহাখালীর সাততলা, ভাসানটেক, তেজগাঁও রেলওয়ে, মিরপুরের ঝিলপাড় এবং মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ী বস্তিতে পৃথকভাবে টানা ৭ দিন সরেজমিন ঘুরে পাওয়া গেছে উল্লিখিত সব তথ্য।

আরও জানা গেছে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলও বস্তি। ভাড়াটে খুনিরা খুন করে বস্তিতে এসে আত্মগোপন করেন। শুধু তাই নয়, ঢাকার বাইরে থেকে আসা অস্ত্র ও মাদকের ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে কোনো কোনো বস্তি।

এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে অনেক বস্তিবাসী হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী। কেউ কেউ বনে যাচ্ছে ‘গডফাদার’। একসময় তাদের অনেকেরই ‘নুন আনতে পান্তা ফুরাতো’। কিন্তু অপরাধ জগতে নাম লিখিয়ে এ মুহূর্তে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক তারা।

এভাবেই ঢাকার একেকটি বস্তি যেন ‘অপরাধী তৈরির কারখানায়’ পরিণত হয়েছে।

সরেজমিন প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে গড়ে ওঠা তিন হাজারের বেশি বস্তির চিত্র প্রায় একই। খুপরি ঘরে গাদাগাদি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন অধিকাংশ বস্তিবাসী।

সেখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু এনজিও কাজ করলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ বস্তি সমীক্ষা-২০১৪ অনুযায়ী, সারা দেশে বস্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩৫টি। বস্তিতে বসবাস করেন ২২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ।

এর মধ্যে শুধু ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ছোট-বড় ৩ হাজার ৩৯৪টি বস্তি গড়ে উঠেছে। নদীভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহারা মানুষগুলো জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় এসে বস্তিতে আশ্রয় নেন।

অধিকাংশ বস্তি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অধিগ্রহণ করা জমিতে গড়ে উঠলেও ৬৫ শতাংশ পরিবারকে থাকতে হয় ভাড়া দিয়ে। মাত্র ৭ শতাংশ ভাড়া ছাড়া থাকেন। বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানা জমিতে থাকে ২৭ শতাংশ পরিবার।

বস্তিবাসীর মধ্যে ৮৪ শতাংশ পরিবার ভূমিহীন। বাকি ১৬ শতাংশ পরিবারের সামান্য কৃষি জমি আছে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও বস্তিতেই আশ্রয় নেন।

বিভিন্ন বস্তিতে সরেজমিন ঘুরে আরও জানা গেছে, অধিকাংশ বস্তিবাসী অশিক্ষিত হওয়ায় তারা খুবই অসচেতন। ছোট ছোট সমস্যা কেন্দ্র করে তারা বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।

তাদের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা। বিচারের নামে বড় অঙ্কের জরিমানা আদায় করা হচ্ছে দরিদ্র বস্তিবাসীর কাছ থেকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, বস্তির অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সব ক্রাইম বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া আছে।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে বিট পুলিশকে শক্তিশালী করা হয়েছে। তাছাড়া সব বস্তিকে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা বস্তিতেও ভাড়া দিয়েই থাকতে হয়। বস্তির প্রতিটি ঘরেরই কথিত মালিক রয়েছেন।

এ কথিত মালিকই অর্থের বিনিময়ে ঘর ভাড়া দেন। যার দখলে যত বেশি ঘর সে তত বেশি প্রভাবশালী। বস্তিতে এমন অনেক কথিত মালিক আছেন যার শতাধিক ঘর রয়েছে।

ঘর ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে এসব কথিত মালিকের আয় কয়েক লাখ টাকা। আবার ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে একাধিক গ্রুপ বস্তি নিয়ন্ত্রণ করে। তারাই বস্তির মূল নিয়ন্ত্রক।

কথিত মালিকরাও তাদের চাঁদা দিয়ে ঘরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে। এসব ঘর আবার কেনাবেচাও করা যায়। কড়াইল বস্তিতে আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি ৫০টি ঘরের মালিক। তিনি প্রতি ঘর থেকে মাসে ভাড়া বাবদ দুই হাজার টাকা করে তোলেন।

ঘর ভাড়া থেকেই তিনি এক লাখ টাকা আয় করেন। পাশাপাশি প্রতিটি ঘর থেকে গড়ে পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল বাবদ আরও এক হাজার টাকা করে নেন।

এ বিষয়ে আবদুর রহিম বলেন, আমি ঘর ভাড়ার টাকা নেই। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল নেয়ার আলাদা লোক আছে। আর ৫০টি ঘরের মধ্যে ৩৫টি ঘর আমি ৫ বছর ৩০ হাজার টাকা করে কিনেছি।

বস্তিবাসীকে শোষণ করে এখন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন অনেকেই। গুলশান, বনানী, উত্তরাসহ ঢাকার অভিজাত এলাকায় রয়েছে তাদের একাধিক বাড়ি।

এখন তারা দামি গাড়িতে চড়ে বস্তিতে আসেন। কড়াইল বস্তির বাসিন্দা আবদুস সালাম সেখানে প্রায় ২০ বছর ধরে বসবাস করেন।

তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। তিনি বলেন, ‘চোখের সামনে কত মানুষকে ফকির থেকে কোটিপতি হতে দেখেছি। বউবাজার এলাকার মোমিন একসময় হোটেল বয় ছিল। বস্তির একটি হোটেলে কাজ করত। বস্তির একসময়ের ত্রাস মোশারফ হোসেন মোশার দলে যোগ দিতেই তার ভাগ্য বদল শুরু হয়। শুনেছি গুলশান আর উত্তরায় তার বাড়ি আছে। সে এখন বস্তিতে থাকে না। দামি গাড়ি হাঁকিয়ে মাঝে মাঝে বস্তিতে আসে।’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাছির বলেন, বস্তিতে একশ্রেণির লোক দলের নাম করে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র এগুলো করে রাতের আঁধারে।

আমার এলাকার মধ্যে সাততলা বস্তি এবং কড়াইল বস্তির কিছু অংশ পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতে।

মাদকের আখড়া : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ছড়িয়ে পড়ছে বস্তি থেকেই। ঢাকার বাইরে থেকে আসা মাদকের চালান প্রথমে বস্তিতে প্রবেশ করে।

পরে বস্তি থেকেই এসব মাদক ছড়িয়ে পড়ে পুরো নগরীতে। কড়াইল বস্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন দু’জন মাদক ব্যবসায়ী হলেন- আবদুল জলিল ও লালচান। তারা মাদক ব্যবসা করে এখন কোটিপতি।

শুধু মাদক ব্যবসা নয়, বস্তিতে রাতভর জুয়ার আসরও বসে। বিভিন্ন মাদক সম্রাজ্ঞীর বাসায়ও চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, রহিমা বেগম নামে এক মাদক সম্রাজ্ঞী রয়েছেন ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ছোবাপট্টি বস্তিতে। সেখানেই তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা।

প্রায় দুই দশক আগে ছোট ছোট পুরিয়ায় গাঁজা ও হেরোইন বিক্রির মাধ্যমে মাদক ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এখন ঢাকায় তিনি অন্তত ১০টি বাড়ির মালিক। চলাফেরা করেন দামি গাড়িতে।

ব্যাংকেও গচ্ছিত রেখেছেন অঢেল অর্থ। বছরের পর বছর মাদক ব্যবসা করে রহিমা এখন ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’।

ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, রহিমা বেগমের মতো ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে এমন অন্তত ২৫ জন ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ রয়েছেন। তারা বস্তিতে মাদক ব্যবসা করে এখন কোটিপতি।

এ নারী মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই বস্তিতে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। সেখানে রাতভর চলে মাদক আর জুয়ার আসর। অবাধেই চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।

কারওয়ান বাজার এলাকায় রয়েছেন মাদক সম্রাজ্ঞী শিল্পী আক্তার, আকলিমা আক্তার, মরিয়ম বেগম কুট্টি ও মাহমুদা।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিদর্শক খোরশেদ আলম বলেন, ঢাকার বস্তিগুলোতে মাদকের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি।

সেখানে নারী ও শিশুরাও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। বস্তিগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এক সময়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ংকর সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান ও কালা জাহাঙ্গীরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বস্তিতে। কারওয়ান বাজার রেলওয়ে বস্তি, মহাখালীর সাততলা বস্তি এবং কড়াইল বস্তি তারা দাপিয়ে বেড়াত।

কারওয়ান বাজার রেলওয়ে বস্তিতে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেদী হাসান সৈকত ওরফে বুলেট এখন ভয়ংকর উঠতি সন্ত্রাসী। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা তেজগাঁও রেলওয়ে বস্তিতে।

শৈশব থেকেই ছোট ছোট চুরি করত সে। প্রকৃত নাম সৈকত হলেও সে একসময় বুলেট নাম ধারণ করে। ধীরে ধীরে পুরো বস্তিতে সে ছিঁচকে চোর হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়। ছোট ছোট অপরাধ করতে করতে একসময় সে ভয়ংকর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়।

বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে সে। নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে ১২ জনের একটি বাহিনীও গঠন করে সে। একসময় সে জড়িয়ে পড়ে অস্ত্র ব্যবসায়। গত বছরের ডিসেম্বরে অস্ত্র কেনাবেচার সময় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বুলেট।

আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গেও তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

মহাখালীর সাততলা বস্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাখালীর সাততলা বস্তি এবং আশপাশের এলাকার একসময়ের ত্রাস ছিল হাবিবুর রহমান সুমন ওরফে ‘ব্যাংকক’ সুমন। সাততলা বস্তির অন্যতম নিয়ন্ত্রক লম্বু সেলিমের মাধ্যমে অপরাধ জগতে তার হাতেখড়ি।

একসময় সে লম্বু সেলিমকে ছাড়িয়ে যায়। মহাখালী, বনানী, গুলশান, নিকেতন, বাড্ডা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়ে সে বড় অস্ত্র ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে। কথায় কথায় সে মানুষ খুন করত।

২০১৫ সালে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে নিহত হয়। ব্যাংকক সুমনের সহযোগী ছিল আজাদ শিমুল। ভবঘুরে বস্তির ছেলে শিমুল আজাদ ব্যাংকক সুমনের সংস্পর্শে এসে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই খুন করে। সুমনের শেল্টারে একসময় সে ভয়ংকর খুনি হয়ে ওঠে।

২০১৩ সালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাততলা বস্তিতে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে হত্যা করে ব্যাংকক সুমন ও শিমুল। ব্যাংকক সুমনের মৃত্যুর পর সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নিজেকে ভাড়াটে খুনি হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে সে।

২০১৭ সালে ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে শিমুল। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল ১১ নম্বর ব্রিজের নিচে শিমুলসহ তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এখনও এই খুনের কিনারা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকক সুমন এবং শিমুল মারা যাওয়ার পর সাততলা বস্তির অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ এখন লম্বু সেলিমের হাতে। সে কারাগারে থেকেই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। এমনকি চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণও তার হাতে।

কড়াইল বস্তির একচ্ছত্র অধিপতি ছিল মোশারফ হোসেন মোশা। বস্তিতে মোশার কথাই ছিল শেষকথা। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে। ২০১১ সালে বস্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয় মোশা।

এখন মোশার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সাঈদ বাবু ওরফে ছয় নম্বরি বাবু এবং তার ভাই শহিদুল ইসলাম। বাবু একসময় ৬ নম্বর বাসের হেলপার ছিল। তার ভাই শহিদুল ছিল রিকশাচালক। এখন তারা বস্তির রাজা।

 

সূত্র: যুগান্তর

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button