ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মহানগরের সামন্তপুর এলাকায় মেহেদী হাসান ওরফে জিসান (১৮) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান।
নিহত মেহেদী মহানগরের সামন্তপুর এলাকার বিল্লাল হোসেন ফকিরের ছেলে। স্থানীয় ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল মেহেদী।
মেহেদীর বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রায় ১৮ দিন ধরে ডেঙ্গুতে ভুগছিলেন তাঁর ছেলে। কয়েক দিন আগে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে গত সোমবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
অপরদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৪, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পুষ্প আক্তার ও তাঁর বোনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কাউন্সিলর পুষ্প আক্তার বলেন, ‘গত ঈদের আগের দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার পর আমি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে আমার ছোট বোন শাকিলা আক্তারেরও ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে একই দিন আমার ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে অনেকটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি সুস্থ নই।’
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এ নিয়ে সেখানে এখন মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩৭ জন। এ পর্যন্ত এই হাসপাতালে ৪৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষন দাস জনান, গত ২৩ আগস্ট জ্বর নিয়ে জিসান এ হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার দেহে ফুসফুসে সংক্রমনের সঙ্গে রক্তের প্লাটিলেটও কমতে থাকায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ২৫ আগস্ট তার রক্তে প্লাটিলেট সংখ্যা ছিল ৮৯ হাজার এবং ২৬ আগস্ট এ সংখ্যা দাড়িয়েছিল ৬৩ হাজার-এ। এতে ধারণা করা হচ্ছে জিসান ডেঙ্গু এবং নিয়োমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। তবে ডেঙ্গু ছাড়াও অন্য ভাইরাসের আক্রমনেও রক্তে প্লাটিলেট কমে যেতে পারে।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১০জনসহ বর্তমানে ৩১জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৪৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গাজীপুরে এখনও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসছে। তবে আগের চেয়ে গাজীপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমেছে।