মধ্যপ্রদেশে সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে জেএমবি’র এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ
গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১৪ সালের অক্টোবরে কলকাতার বর্ধমানের (Burdwan Blast) খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সন্দেহে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরের (Indore) আজাদ নগর এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদিয়ার (Nadia) বাসিন্দা জাহিরুল শেখ নামে ওই ব্যক্তি জামাত-উল মুজাহিদ্দিন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর (terror group) সঙ্গে যুক্ত।
সূত্র মতে জানা গেছে, বাইরের লোকের কাছে একজন চিত্রশিল্পী হিসাবে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি, তাঁর একটি টাটা ন্যানো গাড়িও আছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর ওই গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে (Khagragarh) একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে মারা যায় দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী ও আহত হন আরও একজন।
গ্রেপ্তারের পরে জাহিরুল শেখকে ইন্দোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফার্স্ট ক্লাস কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁর ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ওই ট্রানজিট রিমান্ডেই কলকাতায় নিয়ে এসে অভিযুক্তকে এনআইএ আদালতে তোলা হবে। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের (Indepence Day) ঠিক আগের দিন সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার কথা নিশ্চিত করেছেন ইন্দোরের ডেপুটি জেনারেল অফ পুলিশ রুচি বর্ধন।
গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসবাদী জেএমবির নদিয়া মডিউলের সদস্য, অভিযোগ ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবিরেও অংশ নিয়েছিলেন। এনআইএ জানিয়েছে যে ভারতে জেএমবির সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর উদ্দেশ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছিলেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি।
২০১৪ সালে বর্ধমান বিস্ফোরণ (Burdwan Blast) মামলায় অভিযুক্ত ৩৩ জনের মধ্যে রয়েছেন জাহিরুল শেখ। জানা গেছে, একসময় শিমুলিয়া মাদ্রাসায় গাড়িচালক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি, পাশাপাশি জেএমবি সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও কাজ করতেন জাহিরুল।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে, জেএমবির বড়সড় মডিউলের পর্দা ফাঁস করে এনআইএ।
জানা গেছে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ভারতে তার সদস্যদের “বিচ্ছিন্নতাবাদ, নিয়োগ ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার” কাজ চালাচ্ছিল, যাতে তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করতে পারে এবং “ভারত এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে পারে”। তদন্ত চলাকালীন খাগড়াগড় (Khagragarh) থেকে প্রচুর বিস্ফোরক ও হ্যান্ড গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করেন এনআইএয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।