যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজ্যে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ৩০
গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে দুই দফা হামলায় মোট ৩০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার টেক্সাসে স্থানীয় সময় সকালে শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।
একইদিন রাতে ওহাইও রাজ্যে বন্দুকধারীর গুলিতে নয়জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়। এ ঘটনায় হামলাকারীও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকো সীমান্ত সংলগ্ন টেক্সাসের এল পাসো শহরে ওয়ালমার্টের একটি দোকানে প্রথম বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। টেক্সাসের মেয়র গ্রেগ অ্যাবট এই ঘটনাকে সেখানকার ‘ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দিন’ বলে অভিহিত করেছেন। এ ঘটনায় ২১ বছরের একজন শ্বেতাঙ্গকে আটক করেছে পুলিশ। সে একাই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তির নাম প্যাট্রিক ক্রুসিয়াস, সে ডালাস এলাকার বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে গাঢ় রংয়ের টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি হামলা করছে।
পুলিশ বলছে, হামলার সময় ওয়ালমার্টের দোকানটিতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল। টেক্সাস পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট রবার্ট গোমেজ বলেছেন, ওই শ্বেতাঙ্গ হামলাকারীকে আটকের সময় পুলিশের কোনো কর্মকর্তাকে গুলি করতে হয়নি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী সিবিএস নিউজকে বলেন, ওয়ালমার্র্টের কর্মীরা ভেতরে এসে বলছিল, তারা কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছে। তখন মানুষজন দোকানটির ভেতর ছুটে আসছিল। আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করলেও ভেতরে ভেতরে আমি ভেঙে পড়ছিলাম।
একই দিন রাতে ওহাইও’র ডেটনে বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে নয়জন নিহত ও ১৬ জন আহত হন। শহরের ওরেগন অঞ্চলের একটি বারের বাইরে গোলাগুলির ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
রাজ্যের সহকারী পুলিশ প্রধান ম্যাট কার্পার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সময় টহলরত পুলিশ কর্মকর্তারা বন্দুকধারীকে হত্যা করতে সক্ষম হন।
অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা যায় ও দলে দলে মানুষকে রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ‘ই ফিফথ স্ট্রিট’-এর নেড পেপার্স বারের বাইরে গুলির ঘটনাটি ঘটে।
জো উইলিয়ামস নামের এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানান, গুলি চলার সময় তিনি কাছাকাছি একটি র্যাপ শোতে ছিলেন এবং হঠাৎ তাদের বের হয়ে যেতে বলা হয়। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘ই ফিফথ স্ট্রিট’ এবং ওয়েইন অ্যাভিনিউতে জরুরি সেবাদানকারী সংস্থার সদস্যরা জড়ো হয়। ঘটনাস্থলে এফবিআইয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।
দুই হামলায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।