ঢাকা ও টেকনাফে র্যাবের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রাজধানী ঢাকা এবং টেকনাফে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)-২ সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় একজন ও টেকনাফে দুজন নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, নিহত ব্যক্তিরা অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
সোমবার র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় র্যাব-২ এর সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ সুমন নামের এক ‘অস্ত্র ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন। তবে কথিত গোলাগুলির ঘটনা কখন ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
অপরদিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় র্যাব-২ এর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
তাঁরা হলেন উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের লেজিরপাড়ার বাসিন্দা বশির আহমেদের ছেলে আবদুর রহমান (৪২) এবং রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপালং গ্রামের কবির আহমেদের ছেলে ওমর ফারুক (৩১)।
এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-২ ঢাকার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ীদের বড় একটি চালানের তথ্য পায় র্যাব-২। এর সূত্র ধরেই তাঁর নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল ঢাকা থেকে টেকনাফে আসে। মাদকের চালান ধরতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে একটি অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। রাত আড়াইটার দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি গাড়ি টেকনাফ থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে র্যাব সদস্যরা থামার সংকেত দিলে গাড়ি থেকে র্যাবকে লক্ষ্যে করে গুলি ছোড়া হয়। ওই সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে মাদক ব্যবসায়ীদের দুজন গুলিবিদ্ধ হন এবং র্যাবের তিন সদস্য আহত হন।
পুলিশ সুপার জানান, আহত ব্যক্তিদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে র্যাবের তিন সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ব্যক্তিদের পকেটে থাকা পরিচয়পত্র থেকে তাঁদের নাম-ঠিকানা জানা গেছে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র বলেন, রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন এবং আহত অবস্থায় র্যাবের তিন সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁদের দেহে দুটি করে গুলির চিহ্ন ছিল।
গত বছর ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত র্যাব, পুলিশ, বিজিবির ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও মাদকে প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় ২ জন নারী সহ ১৪০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে এক নারী সহ ২৭ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।