মেয়ে ধর্ষণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ২০১৫ সালে টঙ্গীতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আয়নাল মিয়া (৩৮) নামে এক ধর্ষক। আর সেই ধর্ষণের মামলায় আয়নাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এল বি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ এই কারাদণ্ড দেন।
ধর্ষক আয়নাল মিয়ার বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইরহাট থানার কোদালপুর গ্রামে। তিনি টঙ্গীর এরশাদ নগরের তালতলা এলাকার বসবাস করতেন। রায় ঘোষণার সময় ধর্ষক আয়নাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো: শাহজাহান ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আয়নাল হকের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সে স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। আয়নাল তার প্রথম পক্ষের তিন কন্যা (১২ বছর বয়সী ভিকটিম এবং ৯ ও ৭ বছর বয়সী অপর দুই কন্যা) নিয়ে টঙ্গীর এরশাদ নগরের তালতলা এলাকায় বসবাস করতেন। গত ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন প্রলোভন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিম সাড়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শারীরিক পরিবর্তন দেখে প্রতিবেশীসহ স্থানীয় কাউন্সিলর তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তাদের ঘটনাটি বলে। ভিকটিমের স্বজন ও নিকটাত্মীয় না থাকায় প্রতিবেশী রেখা বেগম বাদী টঙ্গী থানায় মামলা করেন।
পরে টঙ্গী থানার এসআই পরিমল বিশ্বাস ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর ধর্ষক পিতাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার পর টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল বিশ্বাস ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর ধর্ষক পিতাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক এ দণ্ডাদেশ দেন।