চাঁদপুরে শিক্ষিকাকে জবাই করে হত্যা
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : চাঁদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে স্কুল শিক্ষিকা জয়ন্তীকা চক্রবর্তীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার বিকেলে শহরের ষোলঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
জয়ন্তীকা চক্রবর্তী ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার স্বামী অলোক কুমার গোস্বামী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন সিনিয়র হিসাব সহকারী হিসেবে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন।
তার দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুরর রহমান বলেন, বিকেল ৫টায় কয়েকজন শিক্ষার্থী জয়ন্তীকার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখানে জয়ন্তীর গলাকাটা মরদেহ দেখে তারা ৯৯৯ কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
তিনি আরো বলেন, ধারাল কোনো বস্তু দিয়ে তার গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তিনি যেই কক্ষে ছেলেমেয়েদের পড়াতেন সেখানে ফ্যান চলছিল, বই-খাতা টেবিলের মধ্যেই ছিল। শিক্ষিকার হাতে সোনার অলংকার ও পাশে ল্যাপটপ থাকলেও তা খোয়া যায়নি। অর্থাৎ চুরি করার উদ্দেশ্যে তাকে খুন করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এখনো আমরা খুনের কারণ জানতে পারিনি। জয়ন্তীকার মৃতদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের রহস্য উদঘাটে পুলিশ কাজ করছে। আশা করি অচিরেই খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে। জয়ন্তীকার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নিহত শিক্ষিকা জয়ন্তীকার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার তিনি বিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় ছিলেন। তার স্বামী অলক গোস্বামী সকালে ছোট মেয়ে তন্নী চক্রবর্তীতে কোচিংয়ে ভর্তি করাতে ঢাকা যান। তার বড় মেয়ে অনন্যা চক্রবর্তী এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে ও একমাত্র ছেলে নটরডেম কলেজে পড়ছেন।
চাঁদপুর মডেল থানার অনুপ চক্রবর্তী জানান, ওই শিক্ষিকা বাসায় একা ছিলেন। তিনি শনিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন। ঘটনার সময় তার বাসায় কেউ ছিল না।
এদিকে খুনের খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মা. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিনসহ পিবিআই’র একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।