গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি পরিষ্কার করা রাজুকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রাজু আহমেদ। বাবা পেশায় একজন চা বিক্রেতা। মানুষের সহযোগিতায় সে লেখাপড়া করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পায়। এরপর উত্তরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটিতে ভর্তি হয়। রাজুর পরিবারের কথা শুনে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ দেয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সে চাকরি খুঁজতে থাকে। কিন্তু চাকরি আর হয় না। সম্প্রতি ফেসবুকে তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরেও আসে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গতমাসে আয়কর মেলা উপলক্ষে গাজীপুরে বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামের সামনে প্লাকার্ড ও ফেস্টুন লাগানো হয়। যেখানে একটি ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে ইচ্ছেকৃতভাবে লাল রঙ লাগিয়ে দেয়া হয়। রাজু সেটি দেখে আপনমনে রঙ মুছতে থাকে। তারপর তাকে একজন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
জানা গেছে, রাজু যখন পকেটে থাকা টিস্যু দিয়ে যখন রং পরিষ্কার করছিল তখন সেটি দেখতে পেয়ে সন্দেহবশত গাজীপুর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী সরকার ভিডিও করে রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু রাজু জানায় সে টিস্যু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি পরিষ্কার করছিল। এতে মেহেদী বিব্রত হয়; নিজের ভুল বুঝতে পারে। পরে সে ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করে। এক ওয়াল, দুই ওয়াল ঘুরে ভিডিওটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
১৪ ডিসেম্বর গণভবনে ইশতেহার কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য দীপক কুমার বনিক দীপু প্রধানমন্ত্রীকে রাজুর ভালোবাসার ভিডিও দেখান। প্রধানমন্ত্রী দেখে অবাক হন এবং রাজুর সাথে দেখা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এরপর খোঁজ করে রাজুর সাথে যোগাযোগ করে তাকে ঢাকায় আসতে বলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান রাজু আহমেদ।
এ সময় গণভবনে উপস্থিত থাকা নাজমুল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেদিনের ঘটনা শুনে বিষ্মিত হন। তার পরিবারের খোঁজখবর নেন। এরপর রাজুকে ফার্মার্স ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।
আপ্লুত রাজু প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসায় বিষ্মিত। তিনি জানান, এদেশের তরুণদের মনের কথা বুঝতে পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়েছেন।