কালীগঞ্জে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ‘কট্টর আওয়ামী লীগারদের সাথে দোস্তিতে লিপ্ত’
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জে বিএনপি’র নেতা বা কর্মীরা নিজ দলের নেতা-কর্মীদের দূরে ঠেলে কট্টর আওয়ামী লীগারদের সাথে দোস্তিতে লিপ্ত। দেশ যখন একটা চরম অস্থির অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেখানে দলের এই সাংগঠনিক অবস্থা কিসের আলামত?
এমন প্রশ্ন তুলে এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় তার ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোকপাত করেছেন গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আশরাফী হাবিবুল্লাহ।
‘গাজীপুর কণ্ঠের’ পাঠকদের জন্য আশরাফী হাবিবুল্লাহ’র ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
কালীগঞ্জ বিএনপি নিয়ে কোন কথা বলতে চাইনি তবে বক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপিতে বর্তমান যে সার্কাস চলছে সেই কার্য্যকলাপ নিয়ে একটু আলোকপাত না করে পারছিনা। গতকাল দেখলাম বক্তারপুর ইউনিয়নের সভাপতি (?) রফিজুল ইসলাম এবং সবুজের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান জনাব, ফারুকের অপসারণ চেয়ে একটি মিছিল। আবার অন্যদিকে এই মিছিলে অনুপস্থিত ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত(?) সভাপতি মেজবাহউদ্দীন মেজবাহ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম, এবং যুবদল নেতা বর্তমান ইউনিয়ন মেম্বার আমিনুল ইসলাম দর্জি এবং আরো অনেকে। এটা কিসের আলামত?
কার্য্যত সেখানে দলটি সাংগঠনিক ভাবে দুই ভাগে ভাগ হয়ে একটি ঠান্ডা লড়াইয়ে নেমেছে। এর পূর্বে বিএনপির ই একটি অংশের আক্রমনে যুবদল নেতা এবং মেম্বার আমিনুলের পা ভেঙ্গেছে। এই হলো বক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির অবস্থা। এর পূর্বে কালীগঞ্জ পৌর সভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লাল মিয়াকে নিজ দলের কর্মিরাই পিটিয়ে নির্মম ভাবে তার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আবার ঐ ৯ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মি মিলন মেম্বারকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এই যখন দলটির সাংগঠনিক অবস্থা তখন দলের থানার প্রভাবশালী অংশটি রয়েছে বেশুমার চাঁদাবাজিতে লিপ্ত।
তাদের সাংগঠনিক কার্য্যক্রম চালানোরই কোন ফুরসত নাই। ৫ তারিখের পর থেকে তাদের কার্য্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে তারা আলিবাবার চল্লিশ চোরের গুহার সন্ধান পেয়ে সাংগঠনিক কার্য্যক্রম ভুলেই গেছে।
অপরদিকে দুদিন পূর্বে দেখলাম আরেকটি রাজনৈতিক সার্কাস যার আয়োজক ছিল কন্ট্রাক্টার মনিরুদ্দীন মিঠু। দীর্ঘদিন পর কালীগঞ্জ বি এন পিতে উদয় হয়ে মিঠু যে কাজটি করলো তা কার্য্যত একটি আওয়ামি বিএনপি মিলন মেলায় রূপ নিয়েছিল। ঐ অনুষ্ঠানে আবার উপস্থিত ছিল কালীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন মাস্টার সাহেব ও একজন জেলা বিএনপির নেতাও।
ওখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে দেখাগেছে গত ১৫ বছর আওয়ামীলীগকে সার্ভ করা সুপারি ব্যাবসায়ী সুবিধাবাদী সর্বজরহর বটি বিজয় সাহা,তুমলিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী মেম্বার আলী সহ একাধিক আওয়ামীলীগারদের।
আজকাল সত্য বলা এবং উচিত বলা খুব কঠিন। এই বিজয় সাহা যার সাবেক এমপি চুমকি এবং পরবর্তিতে সদ্য সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান সাহেবের সাথে একাধিক ছবি রয়েছে সে এখন কালীগঞ্জ বিএনপির জন্য অপরিহার্য্য। অথচ এই অনুষ্ঠানে থানা সেক্রেটারি সহ অধিকাংশ থানা ও পৌর নেতারা ছিল অনুপস্থিত। এই হলো আমাদের কালীগঞ্জ বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা। এখানে দলের নেতা বা কর্মিরা নিজ দলের নেতা কর্মিদের দূরে ঠেলে কট্টর আওয়ামী লীগারদের সাথে দোস্তিতে লিপ্ত। দেশ যখন একটা চরম অস্থির অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেখানে দলের এই সাংগঠনিক অবস্থা কিসের আলামত ?