আলোচিতজাতীয়

মালয়েশিয়ায় ৪ শতাধিক কোম্পানির মালিকদের বৈধকরণে আবেদন

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের নতুন নিবন্ধন ও নিবন্ধন পূর্ববর্তী পেমেন্টের মেয়াদ বাড়াতে ৪০০-এর বেশি কোম্পানির মালিক দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। দেশটিতে অবৈধদের বৈধকরণ কর্মসূচি আরটিকে-২.০ এর অধীনে এ আবেদন করেন তারা।

কোম্পানি মালিকদের একজন প্রতিনিধি সয়াহ পুত্র মারওয়ানের বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম ‘বারনামা’ জানিয়েছে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই আরটিকে-২.০ কর্মসূচি বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে দেশে অবৈধ অভিবাসীদের লিগ্যালভাবে নিয়মিত কর্মী হিসেবে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১০০ কোম্পানি মালিকদের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে স্থানীয় গণমাধ্যমকে তারা জানিয়েছে, দেশটির কনস্ট্রাকশন, প্লানটেশন, ম্যানুফ্যাক্টর ও সার্ভিস সেক্টরগুলো বিদেশি কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এজন্য আরটিকে-২.০ কর্মসূচি বন্ধ হলে সেক্টরগুলো চালানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।

আরো বলা হয়, রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির অধীনে নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা প্রায় ৫ হাজার বিদেশি কর্মী এখনো আটক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও তারা আরটিকে-২.০ কর্মসূচির অধীনে রেজিস্ট্রেশন করে আইন মেনে চলতে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

আবেদন করার প্রক্রিয়া বন্ধের কারণে আরটিকে-২.০ এর অধীনে অর্থপ্রদান করতে অক্ষম এবং এখন কর্মীদের নিবন্ধন করতে না পারায় কোম্পানি মালিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে বারনামাকে জানিয়েছে সয়াহ পুত্রা।

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কোম্পানির মালিক ইতিমধ্যেই লেভি এবং অন্যান্য ফি প্রদান করেছেন। যেমন, মেডিকেল পরীক্ষা মনিটরিং এজেন্সিতে (ফোমেমা) শ্রমিকদের মেডিকেল করেছেন এবং বীমাও সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু সিস্টেমে পেমেন্ট করা যাচ্ছিলো না। কারণ সিস্টেমটি তখন আর চালু ছিলো না।

আরটিকে-২.০ কর্মসূচি পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেস সচিব নূরহায়তি আবদ মানাফ গ্রহণ করেছেন।

অন্যদিকে গত ১০ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছিলেন, সরকার ৩১শে মার্চের পরে আরটিকে-২.০ এর অধীনে নিবন্ধিত সব কোম্পানি মালিকদের জন্য বিদেশি কর্মী বৈধকরণ প্রক্রিয়ার সময় আর বাড়াবে না।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পূর্বে ঘোষণা করেছিলো, বিদেশি কর্মীদের নিয়োগের জন্য অব্যবহৃত কোটা ১লা জুন বাতিল করা হবে। বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য সক্রিয় কোটা হিসেবে যে লেভিও জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৩১ মার্চের মধ্যে ভিসা উইথ রেফারেন্স (ভিডিআর) জারি করা হয়নি, সেগুলোও বাতিল করা হবে।

এরকম আরও খবর

Back to top button