গাজীপুর

পল্লীবিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপি প্রদান

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুরে পল্লীবিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা ও বিড়ম্বনা নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ‘গাজীপুর নাগরিক ফোরামের’ উদ্যোগে ওই স্মারকলিপি দেয়

স্মারকলিপিতে ১৫ দিনের মধ্যে প্রিপেইড মিটার তুলে নেয়া, প্রিপেইড মিটার চলমান থাকা অবস্থায় যত টাকা গ্রাহকদের বেশী খরচ হয়েছে তা ফেরত দেয়া, পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরাই যদি সমিতির মালিক হয় তবে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার আগে গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করা, আগামীতে পবিস কোন সেবা চালু করার পূর্বে অবশ্যই গ্রাহকদের সাথে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ৪ দাবি জানানো হয়।

গাজীপুর নাগরিক ফোরামের আহবায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন জানান, গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন গ্রাহকদের সম্প্রতি প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহকই প্রিপেইড মিটার পেয়েছেন। পূর্বে স্থাপিত ডিজিটাল মিটার নিয়েই যেখানে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত ছিল না। সেই অভিযোগের সমাধান না করে কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম চলছে। বর্তমান প্রিপেইড মিটারে পূর্বের মিটারের প্রায় আড়াই গুণ বেশী বিল হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেমন আগে কারো বিল যদি ১১০০ টাকা হতো এখন তার প্রিপেইড মিটারে বিল আসছে ২৫০০ টাকা। এছাড়া মিটার ভাড়া আগের চেয়ে চার গুন বুদ্ধি, বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকলেও মিটার থেকে টাকা কাটা যায়, প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ ব্যয় ডিজিটাল মিটারের দ্বিগুণ, পর্যাপ্ত ভেন্ডিং বা রিচার্জ স্টেশন নেই, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড কিনতে হয়, একাধিকবার কার্ড ক্রয়ের ঝামেলা, হঠাৎ মিটার লক হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, পল্লীবিদ্যুতের লাইনে তাদের লোকছাড়া কাজ করা নিষিদ্ধ বিধায় তাদের ডেকেও তাৎক্ষণিক পাওয়া সম্ভব হয় না। পূর্বে ছাপানো বিলিং সিস্টেম ¯ø্যাব সিস্টেম ছিল কিন্তু বর্তমানে ফ্ল্যাট রেটে ইচ্ছে মতো টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। এমার্জেন্সি ব্যালেন্সের জন্য অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। প্রিপেইড মিটার বিলের সাথে পূর্বে স্থাপিত সেন্ট্রাল মিটারেরও চার্জ কাটা যায়। প্রতি রিচার্জেই একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কেটে নেয়া হয়। মেয়াদ কতদিন-কত ইউনিট খরচ হলো ডিসপ্লেতে এরকম কোন তথ্য নেই। এরকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে পল্লিবিদ্যুতের এই প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে। গ্রাহকরা পূর্বের ডিজিটাল মিটারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। তাই প্রিপেইড মিটার সংক্রান্ত বিড়ম্বনার আশু সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের নিকট স্মারক লিপি প্রদানের সময় অন্যন্যের মধ্যে গাজীপুর নাগরিক ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক মো: মনির হোসেন, সদস্য সচিব এ এন এম মুনীর হোসাইন মোল্লাসহ পল্লী বিদ্যুতে গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button