গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখাভোররাতে এক ভিডিও বার্তায় এই চাওয়ার কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিচ্ছেন তাঁরা। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্রজনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষায় এই গুরুদায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ থাকবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও আমরা সকালের মধ্যে ঘোষণা করবো। আমরা সকালের মধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রিয় মুক্তিকামী ছাত্রজনতা, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের এ অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের পরই অরাজকতা, নাশকতা করছে ফ্যাসিস্ট এবং তাদের দোসররা। আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলি চলছে, মন্দিরে হামলা হচ্ছে এবং নাশকতা ও লুটপাট চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আমরা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাও রাজপথে থাকবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে রাজপথে থেকে অভ্যুত্থানকে রক্ষা করতে হবে। ছাত্র-জনতার প্রস্তাব ছাড়া কোনো ধরনের সরকার মেনে নেওয়া হবে না। আমরা আগেও বলেছি, সেনা শাসিত সরকার অথবা সেনা সমর্থিত সরকার অথবা ফ্যাসিস্টদের দোসরদের কোনো বি-টিম সরকার, কোনো গণবিরোধী সরকার মেনে নেওয়া হবে না।’
এর আগে সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করবো। সেই জাতীয় সরকারে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকদের অংশ থাকবে এবং নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও বিভিন্ন পক্ষ রয়েছে। সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও সেই সরকারে কারা কারা থাকবেন তাদের নাম ঘোষণা করবো।’
তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকদের সমর্থিত বা প্রস্তাবিত সরকার ছাড়া আমরা কিন্তু আর কোনো সরকার সমর্থন করবো না। সেটা সেনা-সমর্থিত সরকার হতে পারে বা জরুরি অবস্থা দিয়ে রাষ্ট্রপতি-শাসিত সরকার হতে পারে- এ ধরনের সরকারকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা গ্রহণ করবে না।’