সঞ্জিভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের মাংস উদ্ধার
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন নামের ওই ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল মাংসের টুকরো। মিলেছে প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের টুকরো করা মাংস। গায়ে মাখানো ছিল হলুদ। মিলেছে চুলও। এই মাংস এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের কিনা তা ফরেনসিক তদন্ত করে দেখা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছিলেন যে ফ্ল্যাটে সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুন করা হয়েছে সেখানকার সোয়ারেজ লাইন এবং সেপটিক ট্যাংক খুলে দেখা হবে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা আভাস পেয়েছেন যে সংসদ সদস্যের দেহের টুকরো সেপটিক ট্যাঙ্কে থাকতে পারে। বলে রাখা দরকার, খুনের তদন্তে নেমে এই প্রথম দেহাংশ হাতে পেলেন তদন্তকারীরা। তবে ফরেনসিক পরীক্ষায় আগে উদ্ধার হওয়া দেহাংশ কার, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, আজিমকে খুনের পর তাঁর দেহের মাংস ও হাড় আলাদা করে ফেলে এই জিহাদ ও তার সঙ্গী সিয়াম। মাংস ও হাড় আলাদা করা হয়। একেকটি মাংসের টুকরো ছিল ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম। পেশায় কশাই আন্দাজে মাংস কেটে তার সঙ্গে থাকা ছোট ওজনযন্ত্রে কয়েকটি মাংসের টুকরো ওজন করে দেখেও নিয়েছিল। আজিমের মাথা আধখানা করে তা-ও টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়। জিহাদের দাবি, মাথার টুকরো অন্য দুই অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল অন্যান্য টুকরোর সঙ্গে আলাদা ট্রলিতে পুরেছিল। ওই টুকরোগুলি দু’জন বনগাঁ সীমান্তের কাছে যশোর রোডের উপর ফেলে দেয়। যদিও খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে এখনও কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি তদন্তকারীরা। সেই অন্ধকারে এই প্রথম আশার আলো দেখলেন তদন্তকারীরা। আবাসনের সোয়ারেজ পাইপ ভেঙে, সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে দেহাংশ উদ্ধার হল।