ধসের মু্খে ভারতের স্বর্ণ আমদানি
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ। চলতি মার্চে সেখানে ধসের মুখে পড়েছে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা। এক মাসের ব্যবধানে এর আমদানি ৯০ শতাংশের বেশি কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর পর এটিই হতে যাচ্ছে সর্বনিম্ন আমদানি। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ডিলাররা বলছেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বর্তমানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে। ফলে ব্যাংক ধাতুটির আমদানি কমিয়ে দিয়েছে, যা চাহিদাকে ধসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
তথ্য বলছে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য ওঠে ২ হাজার ১৫৬ ডলার ৯৩ সেন্টে, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা আরো জোরদার হওয়ায় ধাতুটির বাজারে এমন উল্লম্ফন দেখা দেয়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে প্রতি আউন্সের মূল্য ছিল ২ হাজার ১৬৫ ডলার ২০ সেন্ট।
শীর্ষ আমদানিকারক হওয়ায় ভারতের আমদানিতে উত্থান-পতন স্বর্ণের বৈশ্বিক বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। মার্চে আমদানিতে এমন ধস বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির গতিকে কিছুটা সীমিত করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষক।
সরকারি সূত্রের দেয়া তথ্যমতে, চলতি মাসে ভারতের স্বর্ণ আমদানি ১০-১১ টনে নেমে আসতে পারে, ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ছিল ১১০ টন। এদিকে স্বর্ণ আমদানি কমলে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতিও অনেক কমে আসবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা, যা স্থানীয় মুদ্রার জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।
ডব্লিউজিসি জানায়, চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় স্বর্ণ কেনার হার কিছুটা ধীর হয়ে পড়তে পারে। তবে তা ২০২২ সালের তুলনায় বেশিই থাকবে। গত বছর বিশ্বজুড়ে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও জুয়েলারির ব্যবহারে কোনো উত্থান-পতন পরিলক্ষিত হয়নি। কারণ চীনে জুয়েলারির চাহিদা কভিড-১৯-পূর্ব অবস্থায় ফিরেছে। চীন গত বছর ভারতকে পেছনে ফেলে জুয়েলারির শীর্ষ ক্রেতা দেশে পরিণত হয়। এ সময় চীন ৬০৩ টন স্বর্ণ ক্রয় করে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।