কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে পাঁচ হাজার কোটির অবৈধ কয়লাবাণিজ্য
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে আড়াই কিলোমিটার পূর্বদিকে মূলগাঁও গ্রাম। শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ঘেঁষা গ্রামটি একসময় জেলেপাড়া নামে পরিচিত ছিল। মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র উৎস ছিল নদী। বংশ পরম্পরায় মাছ ধরাই ছিল বেশিরভাগ মানুষের মূল পেশা। গ্রামের জেলেপল্লিতে এখনো বাস করে অর্ধশত পরিবার। শুধু নদীর ওপর নির্ভর করে এখন আর তাদের জীবন চলে না। কারণ, কলকারখানার তরল বর্জ্যে নদীর পানি দূষিত হওয়ায় সেখানে আর মাছ পাওয়া যায় না। তাই পেশা বদলেছেন অনেকেই। সেইসঙ্গে বদলে যাচ্ছে গ্রামের পরিচিতি। নদীর তীরজুড়ে কয়লাবাণিজ্য ব্যাপক আকার ধারণ করায় অনেকেই এখন এটিকে কয়লা গ্রাম নামে চেনেন।
গ্রামের প্রধান সড়কের ডানপাশে ১১০ বিঘা কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে বিশাল কয়লার আড়ত। এর মধ্যে ৪৫ থেকে ৫০ বিঘা জমি জেলে পরিবারের। তবে সেই জমি তারা ভোগদখল করতে পারছেন না। প্রভাব খাটিয়ে ব্যবহার হচ্ছে কয়লার আড়ত হিসেবে। এ নিয়ে মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না জেলেপল্লির লোকজন। এ ছাড়া দখল করে নেওয়া হয়েছে নদীর ছয় বিঘা জায়গা। অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের কয়লার গদি রয়েছে ওই আড়তে। ব্যবসায়ীরা জানান, দৈনিক প্রায় ৯-১০ হাজার টন কয়লা বিক্রি করে প্রায় ২০ কোটি টাকা লেনদেন হয় এখানে। তবে এসব আড়ত থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
২২ জানুয়ারি কালবেলা- পত্রিকায় প্রকাশিত ‘শীতলক্ষ্যার তীরে পাঁচ হাজার কোটির অবৈধ কয়লাবাণিজ্য’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ সকল তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এলসির মাধ্যমে সমুদ্রপথে জাহাজে কয়লা আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর হয়ে নদীপথে কালীগঞ্জের মূলগাঁও এলাকায় পৌঁছে লাখ লাখ টনকয়লা। পরে জাহাজ থেকে কয়লা নামিয়ে মজুত করা হয় এ আড়তে। সেখান থেকে কয়লা কিনে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান ক্রেতারা। তবে কয়লার আড়তটির নেই কোনো ধরনের অনুমোদন। ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র, নৌ-জেটির অনুমোদন, রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন এবং জেলা প্রশাসনের অনুমোদন কিছুই নেই।
স্থানীয় জনসাধারণ এবং ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইট তৈরির ভরা মৌসুমে প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ৩৫০-৪০০ ট্রাক কয়লা বিক্রি করা হয় মূলগাঁও এলাকার কয়লার আড়ত থেকে। প্রতি ট্রাকে প্রায় ২৫ টন কয়লা পরিবহন করা হয়। সে হিসাবে আড়তটিতে দৈনিক কয়লা বিক্রি হয় অন্তত ৯-১০ হাজার টন। বর্তমান বাজারে প্রতি টন কয়লার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২২ হাজার টাকা। প্রতিদিন আড়তে ২০ কোটি টাকার কয়লা বিক্রি হয়। আড়তে কয়লা রাখতে প্রতি টন কয়লা বাবদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৫০০ টাকা। এর বিনিময়ে আড়তে কয়লা মজুত রাখা এবং ট্রাকে লোড করার সুযোগ দেওয়া হয় কয়লা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিদিন ৯-১০ হাজার টন কয়লা বিক্রি থেকে আড়ত ভাড়া বাবদ আদায় হয় ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া আড়ত থেকে ট্রাক বাইরে বের করতে ট্রাকপ্রতি অতিরিক্ত গুনতে হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। স্কেলে কয়লাভর্তি ট্রাকের ওজন পরিমাপ, গেটপাস, মসজিদ উন্নয়ন, এলাকার অসহায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের নামে এ টাকা আদায় করা হয়। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মসজিদের নামে টাকা তোলা হলেও মসজিদের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সবমিলিয়ে বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্য হয় এই কয়লার আড়তকে কেন্দ্র করে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ইট তৈরির ভরা মৌসুম থাকে বছরেছয় মাস। এর বাইরে বাকি ছয় মাস দৈনিক সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৮০ ট্রাক কয়লা বিক্রি হয়ে থাকে। মৌসুম বাদে সর্বনিম্ন ৬৫ টন হিসেবে আড়তে কয়লা রাখতে প্রতিদিন ৮ লক্ষাধিক টাকা আদায় করা হয়। এ ছাড়া আড়ত থেকে কয়লার ট্রাক বের করতে চাঁদা হিসেবে আদায় করা হয় আরও লক্ষাধিক টাকা। স্থানীয় একটি মসজিদের নামে রসিদ দিয়ে টাকা আদায় হলেও সেই মসজিদে কানাকড়িও ব্যয় হয় না বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিন পরিদর্শন এবং ব্যবসায়ীদের তথ্য বলছে, চাঁদা আদায়ের জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে ফারুক ও মামুন নামে দুজন সুপারভাইজার। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের দৈনিক হাজিরা বাবদ দেওয়া হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিয়ে আড়ত এলাকায় সারাক্ষণই ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রাখে। পেশাদার সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মূলগাঁওয়ের লোকমান প্রধানের ছেলে মিঠু প্রধান, বালিগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে নেছার ও একই এলাকার মৃত ফুলু মিয়ার ছেলে করু এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়। বালিগাঁওয়ের কবির, কামাল দর্জি, মহাসিন, ছবির, নাইম ও ওসমান নামের আরও পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে ট্রাকচালকদের মারধর করে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলগাঁও এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলেআমজাদ হোসেন স্বপন ও ফারুক মিয়া এই কয়লার সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক। এলাকার লোকজন তাদের ডাকেন শিল্পপতি বলে। এর মধ্যে স্বপন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে ভোটে লড়ে জামানত হারিয়েছেন। ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট উত্তরায় জুয়ার আসর থেকে তাকে প্রায় ৩ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেছিল পুলিশ।
এক ট্রাকচালক জানান, ‘নানান অজুহাতে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। শুধু ট্রাক লোড করতেই দিতে হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে দালাল ও লেবার বকশিশ দিতে হয়। সবমিলিয়ে এক ট্রাক কয়লা নিতে প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। চাঁদাবাজি কমলে সবার জন্য ভালো হতো।’
সরেজমিন মূলগাঁও গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়কের সামনে উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই ভেতরে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ১১০ বিঘা জমিজুড়ে বড় বড় কয়লার স্তূপ। ৪০টি ট্রাকে কয়লা তুলতে কাজ করছেন শতাধিক শ্রমিক। আড়তের ভেতরে প্রায় একশটি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যার কোনোটি কয়লাভর্তি আবার কোনোটি কয়লা লোড করার অপেক্ষায় রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাকে কয়লা তোলায় নিয়োজিত এক শ্রমিক জানান, অতিরিক্ত মুনাফার জন্য বিদেশ থেকে আনা কয়লার সঙ্গে রি-রোলিং মিলের ভারী ছাই মেশানো হয়। রাতের আঁধারে ১০ থেকে ১২টি ট্রাক ভরে এ ধরনের ছাই এনে কয়লার স্তূপে মেশানো হয়।
আড়তের আশপাশেই বসবাস করে গ্রামের মানুষ। স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘সারাক্ষণ কয়লার গন্ধ আসে। আমাদের বাড়িঘর কালো হয়ে গেছে। দিনরাত পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখতে হয়। ঠান্ডা-কাশি লেগেই থাকে। আড়তের মধ্যে আমাদের এক বিঘা জমি রয়েছে। কম টাকা দিয়ে কিনে নিতে চায় তারা। আমরা বিক্রি করতে রাজি হইনি।’
আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়লার আড়তের কারণে আমরা নানা রকম সমস্যায় আছি। গরম লাগে প্রচুর। কালো ধুলায় ঘর-দুয়ার কালি হয়ে আছে। কয়লার গ্যাসে ঘুমাতেও কষ্ট হয়। ভয়ে আতঙ্কে আমরা কিছু বলতে পারি না।’
মূলগাঁও বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘সারাদিন সড়কে কয়লাভর্তি ট্রাক চলে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে আমরা আতঙ্কে থাকি। শুধু ওই আড়ত নয়, গ্রামের ভেতরেও কৃষিজমিতে রাখা হচ্ছে কয়লা। দিনে দিনে কয়লাগ্রাম নামে পরিচিতি পাচ্ছে আমাদের গ্রাম।’
জানতে চাইলে আড়তের নিয়ন্ত্রক আমজাদ হোসেন স্বপন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তিন-চার বছর হলো ঘাটটি প্রতিষ্ঠা করেছি। জায়গাটি পুরোই আমার নিজের। ঘাটে আনুমানিক ১১০ বিঘা জমি রয়েছে। কয়লা ব্যবসায়ীদের কাছে জায়গাটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে বিআইডব্লিউটিএ প্রতিবছর টোল আদায়ের জন্য ইজারা দেয়। এখানে ইজারাদার রয়েছেন। এভাবে চলছে ঘাটটি। সরকারি অনুমোদন ছাড়া ঘাট চালানো যায় না।’
চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘স্কেলে কয়লাভর্তি ট্রাকের ওজন পরিমাপের জন্য ট্রাকপ্রতি ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। যারা আমাদের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন, তাদের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হয়। এখানে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। আমরা জায়গাটির ভাড়া পাই।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঘোড়াশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত লাইসেন্স বা জেটি অনুমোদন দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে যে ঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেই এলাকাটির মধ্যে মূলগাঁও পড়েছে। সেখানে ইজারাদার হয়তো জাহাজ থেকে শুল্ক হিসেবে কিছু টাকা কালেকশন করে। তবে ইজারা দেওয়া থাকলেও নদীর জায়গা দখলের কোনো সুযোগ নেই। কালীগঞ্জ ভূমি অফিস ও বিআইডব্লিউটিএর প্রতিনিধি এবং সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে গত সপ্তাহে ওই এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপনের জন্য লে-আউট দিয়েছি। এরই মধ্যে সীমানা পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এরপর অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদ করা হবে।’
কালীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাফছা নাদিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে নদীর ফোরশোর (তীরভূমি) ব্যবহারের অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ। ইতোমধ্যে এখানকার অনেক শিল্প কারখানাকে অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ এবং তাদের কাছেও সেরকম কোনো তথ্য নেই যে কতটুকু পর্যন্ত দিয়েছে আর কতটুকু ব্যবহার হচ্ছে। নদীর এক প্রান্তে সীমানা পিলার থাকলেও আরেক প্রান্তে নেই। আমরা জানানোর পর বর্তমানে নদীর সীমানা পিলার স্থাপন ও জরিপ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নদীর সীমানা নির্ধারণের পর অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করা হবে।’
কয়লার আড়ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনুমতি আছে কি না তা জানতে আড়তটি পরিদর্শন করেছি। বিআইডব্লিউটিএ থেকে তাদের একটি অনুমতিপত্র আছে জানালেও আড়ত মালিকরা এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। মালিকানার কাগজপত্র, ব্যক্তিমালিকানাধীন হলে নামজারির কাগজপত্র, সরকারি সম্পত্তি হলে বন্দোবস্ত বা চুক্তি, কতটুকু জায়গার মধ্যে ব্যবসা করছেন তার নকশা, পরিবেশ অধিপ্তরের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, ডিলিং লাইসেন্স, আড়তের ভেতরে যতগুলো এজেন্সি আছে, তার চুক্তিপত্রের কাগজ চেয়ে নোটিশ করা হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা কাগজপত্র দিতে অপারগতা জানিয়েছেন।’
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর সাইফুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘কয়লার আড়তটির কোনো অনুমোদন নেই। সেখান থেকে জেলা প্রশাসন কোনো রাজস্ব পায় না। আড়ত মালিক দাবি করেছেন বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন রয়েছে। তবে কোনো কাগজপত্র দেননি, সময় চেয়েছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
আরো জানতে……….
জমি দখল: আদালতের নির্দেশে আবুল খায়ের গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে পুলিশ
অবৈধভাবে জমি দখল করতে গ্রামবাসীর উপর আবুল খায়ের গ্রুপের হামলা, আহত ৪০ (ভিডিও সহ)
কালীগঞ্জে ‘ইকো পার্কের’ নির্ধারিত সরকারি জমি অবৈধ দখলে, পাহারায় আনসার নিযুক্ত!
শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী জমি দখল: ‘আবুল খায়ের গ্রুপ’কে ২ লাখ টাকা জরিমানা
দিনে দুপুরে নদী দখলের অভিযোগ ‘আবুল খায়ের গ্রুপ’র বিরুদ্ধে
কালীগঞ্জে চার কোম্পানির দখলে ‘শীতলক্ষ্যার ১৫ একর জমি’, উদ্ধারের দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ!
কালীগঞ্জে আবুল খায়ের গ্রুপের দখলে থাকা ‘সরকারি হালট’ দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন
সেভেন রিংস সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ফসলি জমিতে, নদীর পাড় দখল করে সম্প্রসারণ
কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যার ৩ একর জমি ভরসা গ্রুপের দখলে