আলোচিত

‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ দেশের ১ নম্বর ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল নিহত

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত দেশের এক নম্বর ইয়াবা ব্যবসায়ী হাজি সাইফুল করিম (৪৫) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে কথিত এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ দাবি করেছে, এসময় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও ইয়াবা।

নিহত সাইফুল করিম টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিলবুনিয়া পাড়া এলাকার মো. হানিফ প্রকাশ হানিফ ডাক্তারের ছেলে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় দেশের ১ নম্বর মাদক কারবারি হিসেবে তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, দেশের শীর্ষ ইয়াবা ডন সাইফুল করিমকে পুলিশ অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন- কয়েক দিন আগে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে মিয়ানমার থেকে এনে টেকনাফের সদর স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে মজুদ করা হয়েছে।

ওই তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার অস্ত্রধারী সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।

এতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ (৩৫), কনস্টেবল ইমাম হোসেন (৩০) ও মো. সোলেমান (৩৬) আহত হন।

এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে আটক সাইফুল গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে একপর্যায়ে অস্ত্রধারী মাদক কারবারিরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে ৯টি এলজি, ৪২টি রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং এক লাখ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

পরে গুরুতর আহত সাইফুল করিমকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি প্রদীপ দাশ আরও জানান, নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক কারবারিদের তালিকায় এক নম্বরে তার নাম রয়েছে।

তিনি জানান, সাইফুলের মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় টেকনাফ থানায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হবে।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button