গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা ১০ মিনিটে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের হোম সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিসংযোগের ফলে বগিতে থাকা চার নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিনা বিথী।
এ ঘটনায় জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব উদ্দিন ও ওসি ডিবি মো. শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুস সালাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ‘যমুনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১টা ৭ মিনিটে স্টেশনে আসে। পরে ট্রেনটি ১টা ১০ মিনিটে রান করার পর মানুষের চিৎকারে কক্ষ থেকে বেড়িয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
ট্রেনের দায়িত্বরত পরিচালক (গার্ড) মাসুদ রানা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, স্টেশন থেকে ট্রেনটি হোম সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় মানুষের চিৎকারে শিকল টেনে ট্রেন থামানো হয়।
সরিষাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ীর এএসআই আব্দুল কাদের সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের পুলিশ সদস্যরা প্ল্যাটফর্মে ডিউটিরত ছিল। ট্রেনের বগিতে কে বা কারা হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড ঘটায়। যার ফলে ট্রেনের বগিতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’
সরিষাবাড়ী উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক রাজু রায়হান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরিষাবাড়ী রেলওয়েতে শুধুমাত্র হরতাল ও অবরোধের সময়ে নিরাপত্তার জন্য ৪০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগ রয়েছেন। তারা ভোর ৬টা থেকে ডিউটিরত থাকেন। যখন অগ্নিকাণ্ড ঘটে তখন কোনো আনসার সদস্য ডিউটিতে ছিলেন না।
সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার রুহুল আমীন বলেন, ‘আগুন নেভাতে ১৭ সদস্য কাজ করেছে। আমরা এখনো কাজ করছি।’
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।