জাতীয়

বৈশ্বিক সংস্থার ‘দক্ষতা’ নিয়ে আস্থা কমছে: শেখ হাসিনা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ‘দক্ষতা ও বৈধতা’ নিয়ে মানুষের ‘আস্থা’ কমে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর ফলে একটা শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অর্জিত সাফল্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণে একথা বলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

নিই ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাতে বরাবরের মতই বাংলায় ভাষণ দেন তিনি। বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ও জটিলতার প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সকলের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে অভিন্ন সঙ্কট মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেখ হাসিনা সপ্তদশ বারের মত জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলায় এ ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, “এ জন্য আমাদের অবশ্যই বিভাজন, সঙ্কীর্ণতা ও বিচ্ছিন্নতার বিপরীতে একতা, সহমর্মিতা ও বহুপাক্ষিকতা বেছে নিতে হবে।“ কোভিড মহামারী ও জলবায়ু সঙ্কটের প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য, অর্থায়ন এবং জ্বালানি নিরাপত্তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন-লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে বলে তিনি জাতিসংঘে তুলে ধরেন।

এমন প্রেক্ষাপটে শান্তি ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী সুবিচার, ন্যায় ও ন্যায্যতার নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যার ভিত্তি হবে জাতিসংঘ সনদ এবং ২০৩০ এজেন্ডা।“

এবারের প্রতিপাদ্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “জটিল এই সন্ধিক্ষণে বৈশ্বিক সংহতি রক্ষার্থে আস্থার পুনঃনির্মাণ এবং পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে আপনার আহ্বান আমাকে এই পরিষদে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ভাষণের একটি বিশেষ উক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেছিলেন, ‘পারস্পরিক নির্ভরশীলতার স্বীকৃতিই কেবল বর্তমান সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধান ঘটাতে সক্ষম। বর্তমান দুর্যোগ কাটাতে হলে অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার’।”

এ বছরের সাধারণ অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সকলের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।’

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button