গাজীপুর

কালীগঞ্জে ইয়াবা ডেলিভারি দেয়ার সময় পুলিশের হাতে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার 

নিজস্ব সংবাদদাতা : টেকনাফে বসে দুই হাজার পিস ইয়াবা কালীগঞ্জে ডেলিভারির অর্ডার পান মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম (৫৫)। এরপর ইয়াবা নিয়ে হোম ভেলিভারি দেয়ার উদ্দেশ্যে এসে কালীগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী তামিমের কাছে ইয়াবার চালান স্থানান্তর করেছিলো আবুল কালাম। একপর্যায়ে পুলিশের কাছে এ সংবাদ পৌঁছে যায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তামিম পালিয়ে যায়। পরে আবুল কালামের দেহ তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ৫’শ পিস ইয়াবা। বাকি ১৫’শ পিস ইয়াবা এরমধ্যেই তামিমের কাছে হস্তান্তর করেছিলো আবুল কালামে। ওই ইয়াবা সঙ্গে নিয়েই পালিয়ে যায় তামিম।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কালীগঞ্জের ভাদার্ত্তী মিলগেইট (বর্তমান হা-মীম গ্রুপ) এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদক মামলায় আবুল কালামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার আবুল কালাম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার খৈানকারপাড়া (খোনকার ডেইল)‌ এলাকার মৃত ফজল আহাম্মদের ছেলে। তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। পালাতক তামিম কালীগঞ্জের ভাদার্ত্তী এলাকার বাসিন্দা।

সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান খানের নেতৃত্বে ভাদার্ত্তীর হা-মীম গেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় অপর একজন পালিয়ে যায়। পরে আবুল কালামের দেহ তল্লাশি করে ৫শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। সে সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালাম জানায় তার বাড়ি টেকনাফে। সে পালিয়ে যাওয়ার তামিমের কাছে ২হাজার পিস ইয়াবা ডেলিভারি করতে কালীগঞ্জে এসেছে। তামিমের বাড়ি কালীগঞ্জের ভাদার্ত্তী এলাকায়। পুলিশের কাছে আটক হওয়ার পূর্বেই সে ১৫শ পিস ইয়াবা তামিমের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে আবুল কালাম।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আবুল কালাম ও পলাতক আসামি তামিমের বিরুদ্ধে শুক্রবার মধ্যরাতে এসআই মশিউর রহমান খান বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন {মামলা নম্বর ৫(৯)২৩}। পরে শনিবার দুপুরে আবুল কালামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আবুল কালামের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় দুইটি এবং চট্রগ্রামের বাঁশখালী থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। সে ইতিপূর্বেও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছিল।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button