শিগগিরই খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নানা বাধা পেরিয়ে শিগগিরই খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। চলতি মাসেই দু’দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কর্মী নেয়ার সার্বিক প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। এবার সিন্ডিকেট নয়, কর্মী পাঠাতে সব ব্যবসায়ীকে সুযোগ দেয়ার কথা জানিয়েছেন, বায়রা মহাসচিব ও প্রবাসীকল্যাণ সচিব।
এদিকে, দায়ী সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি, খরচ নিয়ন্ত্রণে মধ্যসত্ত্বভোগীদের বাদ দিয়ে সরাসরি কর্মী পাঠানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজারের অন্যতম। নির্মাণ, বনায়ন ও সেবা খাতসহ দেশটির বিভিন্ন খাতে জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে বার বার হোঁচট খাচ্ছে সে দেশে জনশক্তি রফতানি।
বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে, গত সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। ফলে গত বছর প্রায় পৌনে দু’লাখ কর্মী গেলেও এবার পাঁচ মাসে যান মাত্র ৯৭ জন। অন্যতম এই শ্রমবাজার আবার চালু করতে এরই মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির দু’দফা বৈঠক হয়েছে। আগামী ২৯ ও ৩০ মে, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবে তৃতীয় দফা বৈঠক। সেখানেই চূড়ান্ত হতে পারে কর্মী নেয়ার সার্বিক প্রক্রিয়া। তবে এ বাজার আবার উন্মুক্ত হলে সিন্ডিকেটের আশঙ্কা ব্যক্তিখাতের ব্যবসায়ীদের।
বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, মাইক্রো লেভেল আলোচনা হবে। এই পাশে যেই খরচ আছে তা আসলে কারা বহন করবে। মালয়েশিয়ার মার্কেট দ্রুত খুলবে বলে আমরা মনে করি।
বায়রার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম ফিরোজ বলেন, দুবাইয়ের বাজার খুলবে। সেখানেও শ্রমিক সিন্ডিকেটের চেষ্টা হচ্ছে, মালয়েশিয়াতেও একই অবস্থা। ওই লোকগুলোকে যখন শাস্তি দেয়া হচ্ছে না তখনই সিন্ডিকেটের চিন্তা হয়।
তবে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে কর্মী পাঠানোর খরচ কমানোর কথা জানান বায়রা মহাসচিব। আর মালয়েশিয়ার বাজার ধরে রাখতে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর তদারকির পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।
বাজারটি বন্ধের জন্য দায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি মধ্যসত্ত্বভোগীদের বাদ দিয়ে সরাসরি কর্মী পাঠানো না গেলে কর্মীদের খরচ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রামরুর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. তাসনীম সিদ্দীকি বলেন, এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ঠিক করার পারও সাড়ে তিন চার লাখ টাকা খরচ করে মানুষ গেছেন। ১০টা রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কাজগুলো হয়েছে। সেগুলোর একটা তদন্ত করা উচিত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
প্রবাসীকল্যাণ সচিব বললেন, যৌথ কমিটির বৈঠকে খরচ কমানোসহ, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, সরকার কখনোই সিন্ডিকেট সমর্থন করবে না। সকলের জন্যই সুযোগ। ৭০টা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা স্ক্রিনিং করে নেব।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ধরে রাখতে নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি যৌথ কমিটির সভায় শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় নানা প্রস্তাব তুলে ধরার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।