
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বিদেশে থাকা বাংলাদেশি ও দেশে থাকা বিদেশিরা এই মাধ্যম ব্যবহার করে এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে বেশি লেনদেন করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, মে মাসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দেশের বাইরে বাংলাদেশি নাগরিকদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৮৪.৭ কোটি টাকা, যা এপ্রিলের ৩৬৮.৪ কোটি টাকার তুলনায় ৩১.৫৭% বেশি।
অপরদিকে অন্য দেশে চালু করা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। যেখানে এপ্রিলে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭০.৪ কোটি টাকা, যা মে মাসে বেড়ে ২১০.১ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ এক মাসে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ২৩%।
ব্যাংকাররা অবশ্য এর কারণ হিসেবে সৌদি আরবে হজের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকে চিহ্নিত করেছেন।
যদিও দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন আগের মাসের তুলনায় মে মাসে ৬.৩৪% কমেছে।
মে মাসে এর পরিমাণ ছিল ২,৩৬৯ কোটি টাকা, যা এপ্রিলে ছিল ২,৫২৯ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেশিরভাগ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন কার্ডধারীরা।
এতে দেখা যায়, মে মাসে ক্রেডিট কার্ডের ৫৮.১৩% লেনদেন হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। এর বাইরে ১৩.৭০% হয়েছে তহবিল স্থানান্তরে, ৭.৫৩% নগদ উত্তোলনে, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ হয়েছে ৭.৩৫% লেনদেনে, ৪.৫১% লেনদেন ওষুধ ও ৩.৫১% লেনদেন হয়েছে পোশাক কিনতে।
দেশের বাইরে করা প্রায় ৪১.০৬% লেনদেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে হয়েছে।
মে মাসে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের প্রায় ৭২.৬৫% ভিসা কার্ড ব্যবহার করে ও প্রায় ১৬.৪০% লেনদেন মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে ও আর বাকি লেনদেন অন্যান্য কার্ডে হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, ক্রেডিট কার্ডধারীরা তাদের কার্ডের বেশিরভাগ ব্যবহার করেছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে।
আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের প্রায় ১৭.০১% ভারতে হয়েছে, তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৪.৭৬%, সৌদি আরবে ১৩.১৪%, থাইল্যান্ডে ৮.২৯%, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭.৫৭%, সিঙ্গাপুরে ৬.২৯% ও যুক্তরাজ্যে ৫.৮২%।
২০২৩ সালের মে মাসে, বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিদেশী নাগরিকদের লেনদেনের মধ্যে, প্রায় ২৫.৪৭% লেনদেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হয়েছে, তারপরে যুক্তরাজ্যের ১১.৪১%, ভারতের ১০.২১%, সিঙ্গাপুরের ৩.৯৭%, কানাডার ৩.৮৬%, হংকংয়ের ৩.৬৪%, অস্ট্রেলিয়ার ৩.৪৫% ও চীনের ৩.৩%।