
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ইউনিট সংখ্যা ১১৯টি। এরমধ্যে ৪০টির বেশি ইউনিটের মেয়াদ নেই। সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে এবার মেয়াদোত্তীর্ণ এসব কমিটির বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সংগঠনটির ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর ১৩ দিন পর ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা চূড়ান্ত করা হয়। দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। সভাপতি হন সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতি আরও ত্বরান্বিত করতে নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেন দুই শীর্ষ নেতা।
ছাত্রলীগের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ছাত্রলীগের ১১৯টি সাংগঠনিক ইউনিটের মধ্যে ৪০টির বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ। গত মঙ্গলবার ও বুধবার মোট ছয়টি কমিটির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে।
রংপুর মহানগর শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার। একইদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। স্থগিত করা হয় রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিও।
পরদিন ঢাকার হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ও আবুজর গিফারী কলেজ শাখার কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এসব কমিটি বিলুপ্তির পেছনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যে কারণ উল্লেখ করেছে তা হলো— ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’।
এর আগে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এদিকে ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত সাত মাসে ফেনী ও জামালপুর জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেছেন সাদ্দাম-ইনান। আর আটটি জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা আছে।
এছাড়া কমিটি পূর্ণাঙ্গের জন্য ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার জন্য জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে।
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির কমিটি গঠন হয়েছে সাদ্দাম-ইনানের হাত ধরে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্রলীগকে আরও গতিশীল করতে তারা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নেমেছেন।
ইনান বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিকে সক্রিয় করা অত্যাবশ্যক। তাই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
শুধু কমিটি বিলুপ্ত করাই সমাধান না বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, শুধুমাত্র কমিটি বিলুপ্ত করার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতে আমরা ইচ্ছুক নই। এই কমিটিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ সাংগঠনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গঠনের মাধ্যমে আমরা মূল উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যাব।
সূত্র: ঢাকা মেইল