গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সকল ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে এ আবেদন দায়ের করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
সোমবার (২৬ জুন) বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ৩১ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমরা জামায়াতের বিরুদ্ধে দুটি আবেদন করেছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আদালত কর্তৃক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে সেই নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি। এটি আদালত অবমাননার শামিল। আরেকটি আবেদনে জামায়াতের সব ধরনের কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত হন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা। এক দশক আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় আসার পর মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দলটির অধিকাংশ শীর্ষনেতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। এরপর দলটিকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফসহ ২৫ জন। ২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।