
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে পরিশোধিত মূলধনের অঙ্ক বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
বিদ্যমান ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয় বছর দুয়েক আগে। এখন নতুন ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই অঙ্ক প্রযোজ্য হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল বশার।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।”
প্রচলিত ও শরীয়াহভিত্তিক উভয় ধরনের ব্যাংকের ক্ষেত্রেই পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা থাকতে হবে।
২০১৯ সালে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের পর ব্যাংকগুলোকে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে দুই বছর সময় দেওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক সময়ে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫০ লাখ টাকা। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ হওয়ার পর পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।
২০০৩ সালের মার্চে তা আরও বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা, ২০০৭ সালে তা ২০০ কোটি টাকা, ২০১১ সালে তা দ্বিগুণ করে ৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স নিতে পরিশোধিত মূলধন আরও ১০০ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে।
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাংক খোলার অনুমতি দেওয়া হয়ে ১৯৮৩ সালে। এরপর ১৯৯৫ ও ২০০১ সালে বেসরকারি খাতে আরও কিছু ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পায় ৯টি ব্যাংক।
এসব ব্যাংকের প্রায় সবগুলো ব্যবসায়িক দিক দিয়ে পুরোপুরো দাঁড়াতে পারেনি। সব মিলিয়ে ২০০৮ থেকে তিন দফায় ১৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়।
সবশেষ ২০২১ সালে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লাইসেন্স পাওয়ায় দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা এখন ৬১টি। অর্থনীতিবিদরা বলে আসছে, অর্থনৈতিক পরিসরের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি।