লাইফস্টাইল

সম্পর্কে ভাঙনের সঙ্কেত

গাজীপুর কণ্ঠ, লাইফস্টাইল ডেস্ক : সম্পর্কে নানান রকম ঝামেলা আসে। আর সেসব লক্ষণ সতর্কতার সাথে চিহ্নিত করা জরুরি।

সুস্থ সম্পর্কে বজায় রাখতে প্রচেষ্টা ও মনযোগের প্রয়োজন। অনেক সময় কিছু সতর্কতার সঙ্কেত থাকে যা সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। এক্ষেত্রে সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতে হয়।

যোগাযোগের ঘাটতি থেকে শুরু করে ঘন ঘন ঝগড়া ও মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সম্পর্কের সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যায়।

মনে রাখতে হবে সমস্যা গোড়ায় চিহ্নিত করা, বন্ধন মজবুত করার প্রচেষ্টা এবং সঙ্গীর সাথে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করা সুখী দাম্পত্যের মূল চাবিকাঠি।

যুক্তরাষ্ট্রের সনদপ্রাপ্ত থেরাপিস্ট ও সম্পর্ক-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জর্ডান গ্রিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্কের জন্য সতর্কতার ছয়টি সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কে জানান।

সত্য গোপন বা বড় কোনো গোপনীয়তা

কোনো বিষয়ে সত্য গোপন করা বা কোনো গোপনীয়তা বজায় রাখা সম্পর্কের সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

সঙ্গীর সাথে খোলামেলাভাবে চিন্তা, অনুভূতি ও ইচ্ছার কথা বলা জরুরি। যেমন- সঙ্গীর কাছ থেকে কোন দ্বন্দ্ব গোপন করা তা দুশ্চিন্তা বাড়ায় ও সম্পর্কের প্রশান্তিভাব নষ্ট করে।

তিরস্কার ও দোষারোপ

সঙ্গীকে দোষারোপ ও তিরস্কার করা তার আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে দিতে পারে এবং সম্পর্কের প্রতি অনীহা বাড়াতে পারে। তাই সঙ্গীর সাথে মন খুলে কথা বললে, কী চাচ্ছেন তা জানালে গঠনমূলক ও সম্মানের সাথে ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিলে সম্পর্ক ভালো থাকে।

যেমন- ‘তুমি সব সময়ই কাজে অলসতা কর’ এটা না বলে, “ঘরের কাজগুলো নিয়ে বেশ চাপ বোধ করছি, আমরা দুজনে মিলে কি এর সমাধান বের করতে পারি না?’

সবসময় সঙ্গীর ভুল খোঁজা বা দেখানো

সবসময় সঙ্গীর ভুলত্রুটি খেয়াল করা তার প্রতি একটা নেতিবাচক ভাবনা ও সম্পর্কে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সঙ্গীর ইতিবাচক দিকগুলো ও শক্তির দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।

নিয়মিত সঙ্গীর প্রচেষ্টা ও তার কাজের প্রশংসা করা সম্পর্কে ইতিবাচক ও জোড়ালো বন্ধন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।

বার বার একই বিষয়ে তর্ক

সমাধান ছাড়া একই বিষয় নিয়ে বার বার তর্ক করা হতাশা বাড়ায় ও যোগাযোগের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, তর্ক সমাধানে দুজনের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন।

উদাহরণ- যদি দুজনের মাঝে ঘরের কাজ নিয়ে বার বার ঝগড়া হয় তাহলে দুজনের সুবিধা মতো কাজ ভাগ করে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে তা শেষ করতে হবে।

মানসিক দূরত্ব

মানসিক যোগাযোগ বা আন্তরিকতার ঘাটতি সম্পর্কে অসন্তুষ্টি ও দূরত্ব সৃষ্টি করে। যদি মনে হয় নিজে বা সঙ্গী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বা অনাগ্রহ দেখা দিচ্ছে তাহলে সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

মন খুলে কথা বলা, একে অপরের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ এবং একে অপরের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়া সম্পর্কের বন্ধন জোড়ালো করতে সহায়তা করে।

গুরুত্ব না দেওয়া

সঙ্গীর মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া এবং ক্রমাগত এড়িয়ে যাওয়া সম্পর্কে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

এক্ষেত্রে, দুজনের মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উপকারী। যেমন- সঙ্গী যদি আরও বেশি আপনার সাথে গুণগত সময় কাটাতে চায় তাহলে তার আগ্রহকে প্রাধান্য দেওয়া এবং একসাথে সেটা কার্যকর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button