দুদক কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি জাহাঙ্গীরের

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ব্যবহার করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
রোববার (২১ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলবে হাজির হলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় চাইতে এসেছেন জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সরকার আমাকে দুটি প্রজেক্টে মাত্র ৬০০-৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু দুদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা কী করে সম্ভব? এটা কাল্পনিক, বানোয়াট ও মিথ্যা।’
তিনি বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। যারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’
সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের প্রচারণা চলছে। আমার জন্মদাতা মা মেয়রপ্রার্থী, আমি প্রধান সমন্বয়কারী। ২৫ তারিখে ভোট। আজ ও আগামীকাল নির্বাচনের প্রচারণা শেষ দিন। ২১ ও ২২ তারিখ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ দিন। এমন সময় দুদক আমাকে ডেকেছে। একটি মহল দুদককে ব্যবহার করে হয়রানি করছে।’
ভুয়া ব্যাংক হিসাবে টাকা অবৈধ লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে জাহাঙ্গীর আলমকে গত ১৬ মে নোটিশ দেয় দুদক। আলাদা নোটিশে তাকে আজ ও আগামীকাল হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করে দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আলী আকবর।
আলী আকবরের নেতৃত্বে দুটি আলাদা অনুসন্ধান টিম জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধান করছে। দুই টিমের অপর দুই সদস্য হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন ও মো. আশিকুর রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুদকের তলবে হাজির হতে এক মাস সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে কোনো জবাব না পেয়ে আজ দুদকে উপস্থিত হয়ে সময় চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা আলী আকবর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সময়ের জন্য আবেদন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম, এই চিঠি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’