গাজীপুরসিটি কর্পোরেশন

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি’র ২৯ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বিএনপির ২৯ জনকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দলটির পক্ষ থেকে ওই প্রার্থীদের আলাদা করে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৫ মে ২০২৩ অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রহসনের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে গত ১১ মে ২০২৩ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও আপনি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি-যা গুরুতর অসদাচরণ।

‘নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে গত ১৫ বছর ধরে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অত্যাচারি শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা যারা গুম-খুন ও পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারসহ দেশের গণতন্ত্রকামী বিপুল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্খার প্রতি আপনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনাকে এহেন অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো। গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

বহিষ্কার নেতাদের মধ্যে রয়েছে, সদর মেট্রো থানার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক হাসান আজমল ভূঁইয়া, সদর মেট্রো থানা বিএনপি ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক আহ্বায়ক হান্নান মিয়া হান্নু, বাসন মেট্রো থানা বিএনপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন মুসা চৌধুরী, টঙ্গী পূর্ব থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিউদ্দিন আহম্মেদ, গাজীপুর মহানগর শ্রমিকদল ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার, পূবাইল মেট্রো থানা বিএনপির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বিকি, পূবাইল মেট্রো থানা ৪২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সুলতান উদ্দিন চেয়ারম্যান, সদর মেট্রো থানা ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজিবর সরকার, সদর মেট্রো থানা ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রশিদ খান শিপু, সদর মেট্রো থানার ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সবদের আহাম্মদ, সদর মেট্রো থানা ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খায়রুল আলম, সদর মেট্রো থানা ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জি এস মনির, সদর মেট্রো থানা ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শহিদ, সদর মেট্রো থানা ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. তানভির আহমেদ, সদর মেট্রো থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শাহিন আলম, সদর মেট্রো থানা ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আনোয়ার সরকার, সদর মেট্রো থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রাতা, গাজীপুর মহানগর ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আবুল হাশেম, টঙ্গী পশ্চিম থানার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সেলিম হোসেন, গাজীপুর মহানগর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ফারুক হোসেন খান, গাজীপুর মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার নুরুন্নাহার, সহ-সভাপতি কেয়া শারমিন, সদস্য ফিরোজা বেগম, টঙ্গী পূর্ব থানা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিনা মমতাজ, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলম, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আউয়াল সরকার, গাছা থানা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন ও টঙ্গী পশ্চিম থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান।

গত সোমবার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button