সালনায় ঘরে ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে হত্যা: ভূঞাপুর থেকে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক গ্রেপ্তার
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ঘরে ঢুকে এক কলেজ ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (১০ মে) রাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর সাইদুলকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক সাইদুল ইসলাম (২৫) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার মহেশতারা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি দক্ষিণ সালনা এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক, পাশাপাশি একটি মসজিদে নামাজ পড়ান।
নিহত শিক্ষার্থী রাবেয়া আক্তার (২১) গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে। তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
জানা গেছে, গত সোমবার (০৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দিকে সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কুপিয়ে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে হত্যা করা হয়। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রাবেয়ার মা ইনসুরেত নেছা (৫০), বোন হাবিবা (১৮), খাদিজা (১৫) ও জান্নাতকেও (১৩) কুপিয়ে জখম করা হয়।
ওই ঘটনায় সাইদুলের বিরুদ্ধে জিএমপি’র সদর থানায় হত্যা মামলা করেন রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার হোমনার শ্রীমদ্দি এলাকার বাসিন্দা আবদুর রউফ সালনা বাজারে একটি শোরুমে চাকরি করেন। সেখানেই সপরিবার বসবাস করেন। ছোট দুই মেয়েকে কোরআন শিক্ষার জন্য সাইদুল ইসলামকে হাউস টিউটর হিসেবে নিয়োগ করেন আবদুর রউফ। সাইদুল রাবেয়াকে বিয়ে করার জন্য তাঁর পরিবারের কাছে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে সাইদুল রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সাইদুলকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য নিষেধ করে দেওয়া হয়। সাইদুল সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় প্রবেশ করে রাবেয়াকে ছুরি দিয়ে মাথা, গলা, হাত ও পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। তাঁর চিৎকারে মা ও তিন বোন দৌড়ে রাবেয়া আক্তারের ঘরে গিয়ে দেখেন, সাইদুল ছুরি দিয়ে তখনো রাবেয়াকে ছুরিকাঘাত করছেন। এ সময় বাধা দিলে ছুরি দিয়ে তিনি অন্যদেরও আঘাত করে পালিয়ে যান সাইদুল। গুরুতর অবস্থায় রাবেয়াকে স্থানীয় ব্যক্তিরা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাবেয়ার মা। আহত হয়েছে রাবেয়ার ছোট তিন বোন।
আরো জানতে…..
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সালনায় ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রীকে হত্যা