
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মানব পাচার আইনে করা একটি মামলা রিক্রুটিং এজেন্সি স্টার লাইন অ্যাসোসিয়েটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফিরোজ মো. মানসুরুল হক ও অফিস কর্মচারী মো. রাজনকে গ্রেপ্তার করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সৌদি আরবে নির্যাতিত গৃহকর্মী হ্যাপি আক্তারকে ফিরিয়ে আনতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া এবং তার পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা দাবি করেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ মে) এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এপিবিএনের সূত্র বলছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এক নারী রিক্রুটিং এজেন্সি স্টার লাইন অ্যাসোসিয়েটের (আর.এল-৭৭৬) মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যান। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই নিয়োগকর্তা তাকে প্রতিনিয়ত যৌন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। তখন তিনি বিষয়টি তার স্বামী মো. সেলিম মিয়াকে জানান। পরে সেলিম মিয়া রিক্রুটিং এজেন্সিতে যোগযোগ করে ভুক্তভোগীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেন। ওই সময়ে রিক্রুটিং এজেন্সি তার কাছে চার লাখ টাকা দাবি করে। পরে কোনো উপায় না পেয়ে ওই নারীর স্বামী বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তার স্ত্রীকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ও ছাড়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ছাড়াই সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এর সত্যতা পায় এপিবিএন।
পরবর্তীতে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর পল্টন মডেল থানার চায়না টাউন ভবন থেকে স্টার লাইন এসোসিয়েটের এমডি ফিরোজ মো. মানসুরুল হক ও অফিস কর্মচারী মো. রাজনকে গ্রেপ্তার করে পল্টন মডেল থানায় হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে সোমবার পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পল্টন মডেল থানার মামলা নম্বর-১৮। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/৮/৯/১০ ধারা।