গাজীপুরসিটি কর্পোরেশন

সিটি নির্বাচনে সাজাপ্রাপ্ত ও লাভজনক পদে থাকলে প্রার্থিতা নয়

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনে সাজাপ্রাপ্ত হলে প্রার্থী হতে পারবেন না। একইসঙ্গে লাভজনক পদে থাকলে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থেকে মনোনয়নপত্র বাছাই করতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনের  নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯ ধারায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে।

আইনে ৯ এর উপধারা (২)(ঘ) ও (২)(ঙ) এর বিধান হচ্ছে- কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এবং মেয়র বা কাউন্সিলর পদে থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি- (ঘ) কোনো ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন ও তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে;

(ঙ) প্রজাতন্ত্রের বা সিটি করপোরেশনের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন।

নির্দেশনায় ব্যাখ্যা দিয়ে আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল হলে এবং আপিল আদালত নিম্ন আদালতের রায় বা সাজা স্থগিত না করলে অযোগ্য বলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত আপিল গ্রহণ করলেও তিনি অযোগ্য হবেন বা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী জামিন পেলেও অযোগ্য হবেন অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সাজা স্থগিত বা মওকুফ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বিধায় সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি রিট পিটিশন ৯১২৪/২০০৮ এ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক লাভজনক পদ সাব্যস্ত করা হয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৯ এর উপধারা (২)(ঙ) অনুযায়ী মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে উক্ত ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক হলে তাকে উক্ত পদ হতে পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। কাউন্সিলর পদধারীরা লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত নন বিধায় তাদের পদত্যাগ না করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে আইনি কোনো বাধা থাকবে না।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে। গাজীপুর সিটি ভোট হবে ২৫ মে।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button