ভিসা ইস্যুতে ঘুষ গ্রহণ: ঢাকায় মালয়েশিয়া হাইকমিশনের দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ঢাকায় মালয়েশিয়া হাইকমিশনের দুজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পর্যটক ও কর্মী ভিসায় দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ভিসা ইস্যু বাবদ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে এ দুজনের বিরুদ্ধে। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের।
রিমান্ডে নেওয়া দুই ব্যক্তির একজন পুরুষ ও অন্যজন নারী। তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাঁদের মালয়েশিয়া ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কি না, তা বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি।
এ ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) ওই দুই সন্দেহভাজন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ সংঘটিত হওয়ার তথ্য উদ্ঘাটন করেছে।
সূত্রগুলো বলেছে, এ দুই কর্মকর্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০টির বেশি ব্যাংক হিসাব ও আনুমানিক ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন (৩১ লাখ) মালয়েশীয় রিঙ্গিত জব্দ করেছে এমএসিসি। জব্দ করা সম্পদের মধ্যে ৮টি প্লটও রয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এমএসিসি-এর মুখ্য কমিশনার আজম বাকি দুই কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন অ্যাক্ট ও অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং, অ্যান্টি-টেররিজম ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড প্রসিডস অব আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস অ্যাক্টের অধীন তদন্ত চলছে।
মুখ্য কমিশনার বলেন, ‘এ দুজনের পর আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনা আমি বাতিল করে দিচ্ছি না।’ তদন্তে সহায়তার লক্ষ্যে সিতি লিয়ানা সাকিজান নামের আরেক নারীর ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁর ব্যাপারে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তদন্ত কর্মকর্তা জয়রাজ রাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্য কমিশনার।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ নিয়ে এক তদন্ত চলার মধ্যে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা ঘটল। ওই তদন্তের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদবিষয়ক মন্ত্রী ভি শিবকুমারকে দুই দফা জেরা করেছে এমএসিসি।
এমএসিসি গত সপ্তাহে শিবকুমারের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও একজন ব্যবসায়ীকেও ওই তদন্তের স্বার্থে আটক করেছে। সোমবার এ তিনজনকে রিমান্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।