উৎসবমুখর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নানা উৎকণ্ঠাকে পাশ কাটিয়ে আড়ম্বর ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৃথিবীতে হানাহানি ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত পৃথিবী থেকে উত্তরণের কামনা ছিল আয়োজকদের প্রত্যাশা।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিবারের মতো মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের প্রতিটি প্রবেশ মুখে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট। এ ছাড়া পুরো বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ছিল পুলিশ, র্যাব, সোয়াতসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল।
শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল পুলিশের সোয়াত টিম, এরপর মোটরসাইকেলে র্যাবের একটি দল। তাদের পেছনে ছিল ডিএমপি পুলিশের একটি দল। এরপর ছিলেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা। এ ছাড়াও ড্রোন উড়িয়ে পুলিশ এবং ডিবির সদস্যরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখছেন।
ঢাকঢোলের বাদ্যি আর তালে তালে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ছন্দোবদ্ধ নৃত্যে আনন্দ-উৎসবমুখর হয়ে ওঠে শোভাযাত্রা। বাংলাদেশে কাজ করেন এমন অনেক বিদেশি বর্ণিল পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শোভাযাত্রায় এবার স্থান পেয়েছে পাঁচটি মোটিফ। মোটিফ পাঁচটি হলো—টেপা পুতুল, ময়ুর, নীল গাই, হাতি ও বাঘ। এ ছাড়াও শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন আকৃতির মুখোশ।
এ সময় অন্যান্যদের ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল শিথিল করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষেও যারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করছে তাদের অনেক কড়াকড়ি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে।