জাতীয়রাশিফল

দেশের মানুষ আজ না খেয়ে নেই: সংসদে মেহের আফরোজ চুমকি

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুর-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, আমরা এইটুকু কথা গর্ব করে বলতে পারি, যতকিছু হয়; বাংলাদেশের মানুষ আজ না খেয়ে নেই। দেশের মানুষ পান্তা ভাত চায় না। মানুষ আর মানুষের বাড়ির দুয়ারে-দুয়ারে ভিক্ষা করতে যায় না।

রবিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে দারিদ্র্য নাই হয়ে গেছে। জিনিসের দাম বেড়েছে আমরা অস্বীকার করি না। সারা বিশ্বে মানুষ কষ্টে আছে, হিসাব করে খরচ করছে। সেখানে বাংলাদেশের একজন মানুষও না খেয়ে আছে? আজ তারা ভালো খাবার চায়, ভালো পরতে চায়। দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।’

নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতমে শীর্ষস্থানে আছেন দাবি করে চুমকি বলেন, ‘এই সংসদের জবাবদিহি নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর চালু করেছেন। বিরোধী দলের প্রশ্নের উত্তর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিচ্ছেন। সংসদীয় কমিটিকে শক্তিশালী করার জন্য মন্ত্রীর পরিবর্তে এমপিদের সভাপতি করেছেন।’

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এখন পঁচাত্তর সাল নয়, ২০২৩ সাল। বাংলাদেশ যাচ্ছে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। এখানে ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না। আমরা সামনে এগিয়ে যাবোই যাবো।’

মেহের আফরোজ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ যে পর্যায়ে চলে গেছে জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কিন্তু তারপরও কেন চাইতে হয়! চাইতে হয় সেই কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর একটা বিরাট প্রজন্ম ভুল তথ্য নিয়ে এই বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানতো না, এই দেশের কোনও ইতিহাসই সঠিকভাবে জানতো না। এ কারণে প্রজন্মটি আরও সমস্যার সৃষ্টি করছে।’

তিনি বলেন, ‘এক ধরণের বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ভুলেই গেছে, বিজয়ের প্রাক্কালে এই দেশ যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে এ জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। অথচ কীভাবে সেই বুদ্ধিজীবীরা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়! আমাদের ভাবতে অবাক লাগে– স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে একটি ছোট শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারে দ্বিধা করেনি। শিশুশ্রম সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে উন্নত দেশের মানুষ বলে সাংবাদিকদের কেন বিচার হবে? এটা হাস্যকর। যে দেশে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মন্ত্রী-মিনিস্টারদেরও বিচার হয়, যে দেশে প্রতিটি স্তরের মানুষকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়, সেখানে একজন সাংবাদিক মিথ্যা তথ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করার প্রয়াস চালাচ্ছে– তাদের বিচার হবে না! আবার সেটা নিয়ে কথা বলে। এর চেয়ে অবাক-বিস্ময়ের কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের সচেতন হতেই হবে। সচেতন না হয়ে উপায় নেই।’

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button