গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দুটি সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির পর একটি পাড়া থেকে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার খামতাং পাড়ায় এ ঘটনার পর জীবন বাঁচাতে ওই এলাকা থেকে অন্তত ৭০টির মতো নৃ-গোষ্ঠীর পরিবার বাড়ি ছেড়ে গেছে।
নিহতদের মধ্যে সাত জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ভান দু বম, সাং খুম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম ও লাল ঠা জার বম।
শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম জানান, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সংযোগ সড়কের মাঝামাঝি খামতাং পাড়া থেকে গুলিবিদ্ধ এসব লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এসপি আরো বলেন, “দুটি সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আটজনের মৃতদেহ দেখতে পায়। তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।”
রোয়াংছড়ি থানার ওসি আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, “আটটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” কাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেননি ওসি।
খামতাং পাড়ার কারবারি মানিক খিয়াং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “গতকাল দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলে শুনেছি। আজ পুলিশ এসে আটটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। ভয়ে এলাকার ৭০টির মতো পরিবার এখন বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।”
কাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা জানেন না বলেও জানান পাড়া কারবারি।
পাশের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উ হ্লাং মং মার্মা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “এরই মধ্যে রুমা উপজেলা সদরের বম কমিউনিটি সেন্টারে ৪০ জন নারী ও শিশু এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। আরও আসছে বলে শুনেছি।”
তাদের খাবারসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি কারা এই গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।