‘সিআইপি’ আবেদনকারী বড় ব্যবসায়ীরাও অযোগ্যের তালিকায়
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রফতানি খাতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচনের জন্য ২০৮ জন ব্যবসায়ীর নাম প্রস্তাব করেছে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে এর মধ্যে ৬০ জনই অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। কর, ভ্যাট ও শুল্ক বকেয়া এবং খেলাপি ঋণের তারা অযোগ্য হয়েছেন। সিআইপি আবেদনকারী এসব অযোগ্যের তালিকায় বড় ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।
ইপিবি সূত্র জানায়, সিআইপি রফতানি নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ২০১৭ সালে মোট ২২টি খাতের পণ্য রফতানিতে অবদান রাখা ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে সিআইপি নির্বাচন করা হবে। এজন্য আগ্রহী ১৪২ জন ব্যক্তি ও ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। এ তালিকায় দেখা যায়, রাজস্ব বকেয়া ও ঋণখেলাপি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৬৪ জনকে অযোগ্য করা হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে চার ব্যবসায়ী বকেয়া পরিশোধ করে ছাড়পত্র নিয়েছেন। ছাড়পত্র নেয়া কোম্পানিগুলো হলো: রাসেল গার্মেন্টস, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং ও লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেড।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের সিআইপি নির্বাচনের জন্য আগ্রহী ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের কর বকেয়া আছে কিনা যাচাইয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি অধিশাখা থেকে একটি তালিকা আমাদের কাছে পাঠানো হয়। যে বছরের সিআইপি নির্বাচন হবে, সে বছরের আগে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের রাজস্ব বকেয়া আছে কিনা যাচাই করে দেখা হয়। রাজস্ব বকেয়া থাকলে মতামতের জায়গায় আমরা অযোগ্য মন্তব্য করি। তবে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে এ সময়ের মধ্যে বকেয়া টাকা পরিশোধ করে আমাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যান। যেমন বকেয়া রয়েছে এমন ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাতজন রাজস্ব পরিশোধ করে আমাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন। সিআইপি নির্বাচনের সময় রাজস্ব বোর্ডের বেশকিছু বকেয়া আদায় হয়।
অযোগ্যের তালিকায় রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তার প্রতিষ্ঠান ইসলাম গার্মেন্টস লিমিটেডের কাছে ২০১২-১৩ হিসাব বছরে আয়কর বাবদ ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৭০১ টাকা বকেয়া আছে। এ দাবি ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।
বিএনপির রাজনৈতিক মতাদর্শী জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ গ্রুপের জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেসের ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আয়কর বকেয়া আছে।
অযোগ্য ঘোষিত সাদ মুছা ফ্যাব্রিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মোহসিনের কোম্পানির বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি বাবদ ২৩ কোটি ১১ লাখ ৫ হাজার ৭১১ টাকা আদায়ের নোটিস জারি করা হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপিও।
কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানও অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন। তার কোম্পানির বিরুদ্ধে ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ করবর্ষের মোট ২১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কর বকেয়া আছে। এছাড়া তিনি ঋণখেলাপি ও ২০১৭ সালে কৃষি ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মামলায় দুদক কর্তৃক গ্রেফতার হন।
এসকোয়্যার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এহসানুল হাবিবের কাছে ৩২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা আয়কর বকেয়া থাকায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। তার কোম্পানির রাজস্ব বকেয়া ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
মোহাম্মদী গ্রুপ লিমিটেডের কাছে শুল্ক বাবদ ৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৪ টাকা বকেয়া আছে। যাচাই-বাছাইয়ে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক।
আয়কর বকেয়া আছে এম আলি আকবরের অন্তিম গ্রুপের অন্তিম নিটিং ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেডের। এছাড়া অন্তিম নিট কম্পোজিট লিমিটেডের বিরুদ্ধে কাস্টম বন্ড ঢাকায় ১ কোটি ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ২১৩ টাকা দাবিনামার বিষয়টি বিচারাধীন আছে। অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন তিনিও।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের সানম্যান গ্রুপের গোল্ডেন হাইটস লিমিটেড, সিরিনা গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলস লি. এবং ইসহাকপুর সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আয়কর বকেয়া আছে। এছাড়া এমএ মান্নানের আয়কর বকেয়া আছে এবং তিনি ঋণখেলাপি। তবে এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। তিনিও অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির সমর্থক এবং শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামস মাহমুদ। তার প্রতিষ্ঠানের আয়কর বকেয়া আছে এবং ভ্যাট বাবদ ১৯ কোটি ৬২ লাখ ২১ হাজার টাকা আদায় করার জন্য কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আকিজ ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোমিন উদ্দীন। তার প্রতিষ্ঠানের ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৮০৫ টাকা শুল্ক বকেয়া কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে বিচারাধীন রয়েছে।
বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তানভির আহমেদ কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের পরিচালক। তাদের বিরুদ্ধে মূসক গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা থেকে ৭ কোটি ৬০ লাখ ৬২ হাজার ৬১২ টাকার দাবি আদায়ের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছে।
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মতাদর্শী ও ফ্যাব-কন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক খান। তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট বাবদ ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৯ টাকার দাবিনামাসহ নোটিস জারি করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক মতাদর্শী ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার একেএম মুশাররাফ হুসাইনের কোম্পানি আধুনিক পোশাক শিল্প লিমিটেড, ক্রেজি ফ্যাশনস লিমিটেড, সামস স্টাইলিং ওয়্যারস লিমিটেড, টিপটপ ফ্যাশনস লিমিটেডের আয়কর বকেয়া আছে। ভ্যাট থেকে তাদের পাঁচ বছরের অডিট রিপোর্ট পাঠাতে বলা হলেও তারা পাঠায়নি। তাই সিআইপি হিসেবে যোগ্যদের তালিকায় নাম নেই তার।
বিএনপি-জামায়াত মতাদর্শী ইউটা ফ্যাশনস লিমিটেডের আবদুর রাজ্জাক সাত্তার, বঙ্গজ তাল্লু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুল হক, মুন্নু সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান (মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি), মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন এবং এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ মো. খবির উদ্দিন মোল্লা (বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে অর্থায়ন করতেন) আয়কর বকেয়া থাকায় রাজস্ব বোর্ড থেকে সিআইপি নির্বাচনে অযোগ্য মতামত দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মতাদর্শীদের মধ্যে অযোগ্য বিবেচিতদের মধ্যে আছেন এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক এমএ মাজেদ, কুলিয়ারচর সি ফুডসের চেয়ারম্যান মো. মুছা মিয়া (সাবেক সংসদ সদস্য), গোল্ড স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল হোসেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমান সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান, সান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আহসান, পলমল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিস সিকদার, মন্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজি আব্দুল মজিদ মন্ডল, জে কে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, সিম ফ্যাব্রিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোজাফফর হোসেন এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
অযোগ্যের তালিকায় থাকা অন্যদের মধ্যে আছেন পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান আহমেদ, রেজা জুট ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম রেজা (ঋণখেলাপি), আলতু খান জুট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান হোসেন, জনতা জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হক, এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোমিন উদ্দীন, ঢাকা হাইড অ্যান্ড স্কিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ ভুঁইয়া, ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী বেলায়েত হোসেন, নিরালা সি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী দেলোয়ার, সি ফিশার্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ চৌধুরী, সজীব ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, কেমস ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, ক্যাসিওপিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ, ডার্ড গার্মেন্টস গ্রুপের পরিচালক সেঁজুতি দৌলাহ, কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব, রাজ কামাল এভারেস্ট করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন, কনেক্সপোর স্বত্বাধিকারী আবু আলম চৌধুরী, ইকিই টেক্স (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হক, ইপিলিয়ন স্টাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ উদ্দীন আল মামুন, করণী নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কুতুবউদ্দীন আহমেদ, করিম টেক্সটাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম সরকার, স্বাধীন গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিলা সালা, কিউট ড্রেস ইন্ডাস্ট্রির স্বত্বাধিকারী শেখ এইসএম মোস্তাফিজ, আর্টিসান সিরামিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, চিটাগাং ডেনিম মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, গ্রাফিক পিপল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরী, কেয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক মাসুম পাঠান, যমুনা স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক মো. শামীম ইসলাম, আমান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, কেয়া কসমেটিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা পারভিন, নিও জিপার কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আসিফ এ চৌধুরী এবং আহমেদ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ বলেন, সিআইপি আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ে নিয়ম অনুসরণ করে এনবিআরের কাছে জানতে চাওয়া হয় কর-ভ্যাটসংক্রান্ত কমপ্লায়েন্সের বিষয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চাওয়া হয় খেলাপি ঋণ আছে কিনা। আর জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে জানতে চাওয়া হয় আবেদনকারীদের নামে কোনো মামলা আছে কিনা। তাদের পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমপ্লায়েন্স দেখে চূড়ান্ত করা হয়। এনবিআরের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি।
উল্লেখ্য, সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তিরা সচিবালয়ে প্রবেশে বিশেষ পাস; ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও নৌপথে সরকারি যানবাহনে সংরক্ষিত আসনে অগ্রাধিকার; বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার; ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ভিসাপ্রাপ্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন ইস্যু ইত্যাদি সুবিধা পাবেন। সিআইপি (রফতানি) কার্ডের আওতায় এক বছরের ও পরবর্তী সিআইপি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এ সুযোগ-সুবিধা পাবেন নির্বাচিত ব্যবসায়ীরা।
সূত্র: বণিক বার্তা