গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : তিন বছরের বেশি সময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন। কিন্তু বিয়ে না করেই নগদ অর্থ হাতিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান প্রেমিক। পরে ওই যুবককে নাগালে পেয়ে গণধোলাই দিয়ে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান প্রেমিকা।
মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্তের নাম নুরুল ইসলাম শাওন। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। শাওন ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে শাওনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শাওন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে তাকে নিয়ে থানায় যান ওই তরুণী।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান তিনি। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে শাওন বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ধর্ষণ মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে শাওনের পরিবার তাদের বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে সেবার আর অভিযোগ করেননি তিনি।
তিনি জানান, এরপর তাদের অবাধে শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে। নানা টানাপড়েনে আবার তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর তাকে শাওনের বাবা-মা তাদের ঈদগাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে তোলেন। সেখানে বিয়ে ছাড়াই ওই তরুণী ও শাওন একসঙ্গে থাকতে থাকেন। তবে কয়েক মাস পর ছাত্রলীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শাওনের পরিবার।
ওই তরুণী আরও জানান, এসব ঘটনায় তিনি আইনের দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করলে শাওন তাদের বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। হুমকি ও আবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান শাওন। মঙ্গলবার শাওনকে বাস টার্মিনালে পেয়ে আটক করেন তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংবাদ মাধ্যমকে কোনো মন্তব্য করেননি অভিযুক্ত শাওন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েরই কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ। এ জন্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’