গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় বেড়েই চলেছে লাশের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিক বাজারে এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
নিহতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন লালবাগের ইসলামবাগের মমিনুল ইসলাম (৩৮) ও তার স্ত্রী নদী আক্তার, প্রবাসী সুমন, কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার নলচড় গ্রামের জুতা ব্যবসায়ীর ছেলে মো. মমিন, যাত্রাবাড়ীর শেখদী পশ্চিম পাড়ার মোশাররফ হোসাইনের ছেলে মুনসুর হোসাইন (৪০), বরিশাল কাজীরহাট চরসন্তশপুর গ্রামের ইসহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলুবাজারের মো. ইসমাইল হোসেন (৪২), কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ চুন কুটিয়া মাস্টার বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. রাহাদ এবং চাঁদপুর মতলব উপজেলায় পশ্চিম লালপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলামিন (২৩)।
নিহত অন্যদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। হতাহতদের খোঁজে অনেকেই ভিড় করছেন হাসপাতালে। প্রিয়জনদের ছবি দেখিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। আর আহত শতাধিক। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
জানা গেছে, বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। মোট পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।