গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান-ই-আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন স্থানীয় আইনজীবী সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস।
মামলাটি গ্রহণ করে আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এসব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার এজাহার দাখিলকারী আইনজীবী রায়হান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জান-ই-আলম ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর যোগ দেন। এরপর থেকে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরই মধ্যে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ ও বাড়িতে গবাদি পশুর খামার তৈরি এবং বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনেছেন। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য বালু ব্যবসায়ী ও ইটভাটাগুলোর কাছ থেকে বিনামূল্যে নিম্নমানের বালু ও ইট নেন।
এতে আরও বলা হয়, আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের আগেই প্রকল্পের শতভাগ অগ্রগতি দেখিয়েছেন এবং টাকার বিনিময়ে ঘর বিতরণ করেছেন। অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ তাদের চাহিদা অনুসারে টাকার জোগান দিতে না পারায় প্রকল্পের ঘর পাননি। দরিদ্রদের সহায়তার জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে ১০ শতাংশ কমিশনও নেন ইউএনও। পাশাপাশি বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছেন। টিআর-কাবিখার উন্নয়নমূলক কাজে ১০ শতাংশ হারে কমিশন নিচ্ছেন। এ ছাড়া ঘুষ না পেলে অন্যায়ভাবে আইনের অপ্রয়োগ করে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে এজাহারে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান-ই-আলম বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কয়েকজন সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারলাম মামলার কথা। মামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে রাজশাহী পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়েছিল।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন