কাপাসিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার মারধরে চাচার মৃত্যু
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কাপাসিয়ার দস্যুনারায়ণপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার মারধরের শিকার হয়ে প্রাণ গেছে চাচার।
শুক্রবার (০৩ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজু (৩৮) দস্যুনারায়ণপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তাঁর ভাতিজার নাম মো. নাঈম (১৭)। তাঁর বাবা ইসমাইল হোসেন নিহত সাজ্জাতের বড় ভাই।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে পৈতৃক জমির একটি অংশে স্থাপনা নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করা শুরু করেন সাজ্জাদ হোসেন। এতে বাধা দেন ভাতিজা নাঈম ও তাঁর মা কুহিনুর। পরে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন বড় ভাই ইসমাইল হোসেনও। দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় সাজ্জাদ হোসেনকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন নাঈম ও অন্যরা। এতে গুরুতর আহত হন সাজ্জাদ। তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, তাঁর স্বামীকে শাশুড়ি ছালেহা বেগম (৭০) কিছু জমি লিখে দিয়েছিলেন। সেই জমিতে মাটি ভরাট করতে যাওয়ার কারণে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন নাইম, ইসমাইল ও কুহিনুররা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাজ্জাতের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত সাজ্জাদের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, জমিটি নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর আগেও তাঁদের নিজেদের মধ্যে কয়েকবার বিবাদ হয়েছে। আজ শুক্রবার আবারও জমিটি নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে ভাতিজার লাঠির আঘাতে সাজ্জাদের মৃত্যু হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ আসেনি।
ঘটনার পর নাঈম, ইসমাইল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী কুহিনুরদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পাওয়া যায়নি। স্বজনেরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক। নাঈমের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিরও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র: প্রথম আলো