কালীগঞ্জে ট্রেনের সঙ্গে প্রাণ দুধের ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ: প্রায় ৭ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জের দড়িপাড়া রেলক্রসিং-এ চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে প্রাণ দুধ পরিবহনকারী ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে হয়। এতে প্রায় ৭ ঘন্টা ঢাকা-ভৈরব রেল পথে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে রেলপথ থেকে দুর্ঘটনা কবলিত দুধের ট্যাঙ্কারটি সরিয়ে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে রাত পৌণে ২টার দিকে টঙ্গী-ভৈরব রেল সড়কে দড়িপাড়া রেলক্রসিং-এ সিলেটগামী সুরমা মেইল ট্রেনের সঙ্গে প্রাণ দুধ পরিবহনকারী ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত পৌণে ২টার দিকে দড়িপাড়া রেলক্রসিং-এ রেল গেইট বন্ধ করার সময় দ্রুত রেল ক্রসিং অতিক্রম করার সুযোগ চেয়ে অনুরোধ করেন প্রাণ মিল্কের ট্যাঙ্কারের চালক। পরে ট্যাঙ্কারটি রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় সড়কে আটকে যায়। সে সময় পূবাইল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে সুরমা মেইল ট্রেন দড়িপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় আসছিল। এদিকে ট্যাঙ্কারটি রেল ক্রসিং থেকে সরানোর চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। আর ট্রেনও সে সময় থামানো সম্ভব হয়নি। এতে ট্রেনের সঙ্গে ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হয়ে। সে সময় ট্রেনের ধাক্কায় ট্যাঙ্কারটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ট্রেনের ইঞ্জিনও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ট্যাঙ্কারটি ট্রেন লাইনে আটকে যায়। পরে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে ভোরে প্রথমে ভৈরবগামী লাইন স্বাভাবিক করে। এরপর সকাল নয়টার দিকে ঢাকাগামী লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে কালীগঞ্জের দড়িপাড়া এলাকায় রেল ক্রসিংয়ে প্রাণ দুধের একটি ট্যাঙ্কার বিকল হয়ে যায়। পরে সুরমা মেইল ট্রেনের সঙ্গে ওই ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হয়। সকালে ট্যাঙ্কারটি রেল লাইন থেকে সরিয়ে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিনি আরও জানান, সংঘর্ষের আগেই ট্যাঙ্কারে থাকা চালক ও অন্যরা নেমে যায়। ফলে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এসএম কামরুল ইসলাম বলেন, রাত পৌণে ২টার দিকে সিলেটগামী সুরমা মেইল ট্রেনের সঙ্গে প্রাণ দুধের একটি ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাকা-ভৈরব রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে প্রথমে ভৈরবগামী লাইন স্বাভাবিক করে। সকাল ৯টার দিকে ঢাকাগামী লাইনেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই সময়ের মধ্যে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইল এবং তিতাস কমিউটার ট্রেন আটকে পরে। এছাড়া ভৈরবগামী লাইনে রাতে কোন ট্রেনের শিডিউল না থাকায় ওই লাইনে চলাচলরত ট্রেনের সিডিউল স্বাভাবিক ছিল। ভোরে প্রথমে ভৈরবগামী লাইন স্বাভাবিক হলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পরে সকাল ৯টার পর থেকে উভয় লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।