বৃহস্পতিবার টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
![gazipurkontho](https://www.gazipurkontho.com.bd/wp-content/uploads/2023/02/image-46006-780x425.jpg)
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নানা বাধা বিপত্তি আর সময় ক্ষেপণ শেষে চালু হচ্ছে ‘ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের একাংশ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত অংশের ১১ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চালুর পরপরই এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী, টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। অথচ এই দুই সেকশনে দু’টি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রয়েছে। যে কারণে এই পথে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশি সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যায় না। তাই ঢাকা থেকে আরও বেশি ট্রেন পরিচালনা করার পাশাপাশি ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১২ সালের নভেম্বরে। লক্ষ্য ছিল এ প্রকল্পের আওতায় অপারেশনাল ক্যাপাসিটি বাড়াতে প্রকল্পের আওতায় সিগন্যালিং ও টেলিকম কাজসহ ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার লুপলাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার ও চারটি স্টেশন পুনঃর্নির্মাণ করা। আর এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ ২০১৫ সালে শেষ করার কথা থাকলেও ওই বছরে নিয়োগ দেওয়া হয় পরামর্শক। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়ানো হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগসহ নানা প্রক্রিয়া শেষ করে প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। আর ৮৪৮ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় গিয়ে ঠেঁকেছে ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকায়।
সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বিলম্ব হওয়ার বাঁধা ছিল আগে থেকে এর সমীক্ষা না করা, নকশা না থাকা, কোভিড-১৯ এবং নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এ প্রকল্পে কোনো সার্ভে করা হয়নি। তার আগে প্রকল্প অনুমোদন, পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া, তাতে চলে গেছে এক থেকে দেড় বছর। যে কারণে ২০১২ সালের প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। ডিটেইল ডিজাইন, দরপত্র আহ্বান আর ঠিকাদার নিয়োগ দিতে দিতেই মেয়াদ শেষের দিকে চলে আসে। তারওপরে কোভিড-১৯। অন্যদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটা বাধা তো রয়েছেই। এটা না থাকলে কাজ আরও এগিয়ে যেত।’
এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ সিগন্যাল ছাড়া মোটামুটি শেষ। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ১১ কিলোমিটার পথের উদ্বোধন করবেন। বনানী থেকে কমলাপুর অংশের কাজ শুরু করা না গেলেও বাকি অংশের কাজ চলমান।’
আসছে জুনের মধ্যে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘সেজন্য মেয়াদ ও অর্থ দুটোই বাড়াতে হবে।’
এ ছাড়া যে ১১ কিলোমিটার উদ্বোধন করে দেওয়া হচ্ছে সে লাইন দিয়ে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: সারাবাংলা